ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সহসাই কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৭
সহসাই কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: নতুন পেঁয়াজ না ওঠা এবং ভারত থেকে কম দামে আমদানি না হওয়া পর্যন্ত সহসাই কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ। একদিকে দেশি পেঁয়াজের স্টক শেষ অন্যদিকে কয়েক দফা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর কারণে আমদানি কমে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে।

এতে স্থানীয় বাজার তথা সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে হু হু করে। আর এ উচ্চ দাম আরও অন্তত একমাস অব্যাহত থাকার আশঙ্কা আমদানীকারকদের।

সেইসঙ্গে দেশের কৃষিখাতে পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতির কারণকেও দুষছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

আর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের পরিকল্পনা ঘাটতির কারণেই প্রতি বছরই অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে গত বছরও বন্যার অজুহাতে একই সময় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় এ পণ্যটির দাম বাড়িয়েছিল।

দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে না পারায় প্রতি বছর আমাদানির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ব্যবসায়ীরা দুই মাস আগে টন প্রতি দেড়’শ থেকে দুই’শ ডলারের এলসি করলেও বর্তমানে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে চারশ’ থেকে পাঁচশ’ ডলারে। পেঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। ক্রেতাদের অভিযোগ প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪২ টাকায়। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পচনশীল পণ্য হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে তাদের। আকশ্মিক এ পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আমদানিকারকরাও আমদানি কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। বেশি দামে কেনার কারণেই খুচরা বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। শুধু তাই নয় অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিকেও দুষছেন কেউ কেউ।

দেশীয় পেঁয়াজের মজুদ না থাকায় বেড়েছে ভোক্তা চাহিদা, রপ্তানিকারকদের দাবি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতির সম্মূখীন তারা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ-দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে প্রতি বছর এমন জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।

এ ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মঈনুল ইসলাম পেঁয়াজ আমদানি কম হবার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে গড়ে দৈনিক ৪০টি করে পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক এলেও দাম কম থাকলে ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০টিতে।
 
সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম জানান, শুল্কমুক্ত পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানিতে জটিলতার সুযোগ নেই। তার পরেও ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুরুল হুদা জানান, দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদনের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি নির্ভরশীলতা কমাতে দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ ব্যবসায়ীদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ১১ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।