বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল একাত্তরে ‘উত্তরবঙ্গে বিনিয়োগ: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রংপুর উন্নয়নে পিছিয়ে থাকবে না। এখন চরম দারিদ্র্য ১৩ শতাংশ, ২০৩০ সালে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান, তিনিও বিভিন্ন উন্নয়ন করেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরে শিল্প করতে এখন গ্যাস লাগবে। এটির সংকট আছে। এজন্য বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে। আমরা খুব দ্রুতই উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশের দিকে ধাবিত হব।
যেভাবে অগ্রগতি হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ২৮তম দেশে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
২০৫০ সালে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ২৩তম দেশে পরিণত হবে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭১-৭২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ছিল ১৭৫ কোটি টাকা। আজ বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ৪ লাখ ২০৬ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।
১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য কয়েকটি দেশে রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করতো ৩৪৮ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করছে সার্ভিস সেক্টরসহ ৩৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২১ সালে এ রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। রেমিটেন্স আসছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ঢাকা-রংপুর বিভাগের যোগাযোগের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এ অঞ্চল খুবই অবহেলিত রয়ে গেছে। এজন্য রেলের উন্নয়ন করা অবশ্যই দরকার।
যেকোনো বিনিয়োগে জ্বালানি অন্যতম ইন্ধন তাই রংপুর বিভাগে গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহসীনুল করিম লেবু। প্রবন্ধ পাঠ করেন দ্যা ফিন্যন্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ অতিথি সিদ্দিক ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
কেজেড/এমজেএফ