এ অবস্থায় সরাসরি নোট ধ্বংসকরণ কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আরো কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে জারি করা নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি ভল্টে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো জমা করা মিউটিলেটেড এবং অপ্রচলনযোগ্য নোট যাচাই-বাছাইকালে প্রায়শই বিনিময় অযোগ্য নোট যেমন- বহুখণ্ডে খণ্ডিত নোট, বিল্টআপ নোট, জাল নোট এবং নোট কম পাওয়ার মতো অনিয়ম পাওয়া যায়।
এতে শ্রম ও সময়ের অপচয় ছাড়াও সরাসরি নোট ধ্বংসকরণের উদ্দেশ্যও ব্যাহত হয়। এখন থেকে জমা করা অপ্রচলনযোগ্য ও মিউটিলেটেড নোটের বান্ডিল নমুনা ভিত্তিতে যাচাইকালে বিনিময় অযোগ্য নোট পাওয়া গেলে তা সরাসরি ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত সব নোটের উপর সমানুপাতে বিনিময় অযোগ্য নোট এবং সংখ্যাগত ঘাটতি নোটের সংখ্যা হিসাব করে আদায়যোগ্য অর্থের পরিমাণ (জরিমানা) নির্ধারণ করা হবে।
এতে আরো বলা হয়, আপাতত ৫, ১০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট সরাসরি পদ্ধতিতে ধ্বংস করা হবে। এক্ষেত্রে ১ দিনে যে পরিমাণ নোট সরাসরি ধ্বংস করা হবে, তার মধ্যে ৫ টাকার মূল্যমানের নোটের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ, ১০ টাকা নোটের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ও ২০ টাকা নোটের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে পৃথক করে যথানিয়মে যাচাই ও পরীক্ষা করা হবে।
দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে পৃথক করা নোটের মধ্যে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের পরিমাণ ১০ শতাংশ বা তার বেশি হলে সংশ্লিস্ট ব্যাংকের সমুদয় নোট পরীক্ষা ও যাচাই করে প্রাপ্ত পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের মোট মূল্যমানের উপর শতকরা ১ শতাংশ জরিমানা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এসই/এএ