ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় পাঁচ হাজার ট্রাক আটকা পড়ে আছে। তবে এ পথে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত ও বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রমে কোনো বাধা নেই বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করেন ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো।
পেট্রাপোল চেকপোস্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশে দ্রুত পণ্য রফতানি স্বার্থে আগে তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় মেনিফেস্ট তৈরি করার পর (কারপাস) বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতো।
হঠাৎ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশনা জারিতে বলেন, তারা নিজেরাই কারপাস ইস্যু করে রফতানি পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন। এ ধরনের নির্দেশনায় ধীরগতিতে পণ্য রফতানিতে ব্যাপক জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে সুষ্ঠ সমাধানে কর্মবিরতি ডেকে গত বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো সমাধান না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভবিষ্যৎ সুবিধার কথা বিবেচনা করেন তারা এ সিদ্ধান্তে অটুট রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, ভারতে কারপাস জটিলতার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে কোনো পণ্য আমদানি-রফতানি হচ্ছেনা।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভারত থেকে কোনো পণ্য আমদানি না হলেও বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল রয়েছে। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হলেও তারা দু'পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য সচলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে কর্মবিরতির ফলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের শতভাগ রফতানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামালসহ পচনশীল পণ্য রয়েছে।
এছাড়া ভারতে ঢোকার অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরেও কয়েকশ রফতানি পণ্যবাহী ট্রান দাঁড়িয়ে রয়েছে। দু'পারের আটকে থাকা এসব পণ্যের লোকশান কেবল বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বহন করতে হয়। আর পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ থেকে পিছিয়ে থাকছে কাস্টমস। একটি সন্তোষজনক সমাধানের মধ্য দিয়ে দ্রুত অচলাবস্থা নিরসন হবে এমনটা আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এজেডএইচ/এএটি