সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বের মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে গর্ভনর ফজলে কবির এ কথা জানান।
মুদ্রানীতি ঘোষণাপত্রে তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
তিনি বলেন, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আনার সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বন্ধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে হবে। এটা করতে পারলে রেমিটেন্স বাড়বে। অবৈধপথে মোবাইল অ্যাকাউন্টে লেনলেন বন্ধ করার জন্য নানা পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে।
‘পাশাপাশি ইন্টারেনটভিত্তিক ই কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিদেশে পণ্য ও সেবা রফতানি আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আনার প্রক্রিয়া সরলতর করা হবে। ’
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, করপোরেট গ্রাহকদের মেয়াদী প্রকল্প বিনিয়োগ অর্থায়নে বাংকগুলোর উপর অতিনির্ভরতার প্রবণতা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে এনে এর মূলধন বাজার বন্ড ইস্যু করা হবে। ফলে অর্থায়ন সংগ্রহে উৎসাহ ও সহায়তায় ব্যাংকগুলো সক্রিয় থাকবে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি চালের দাম স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে নতুন মুদ্রানীতিতে গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানান তিনি।
গর্ভনর বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ ও বৈদেশিক লেনদেন খাতে স্থিতিশীলতার জন্য নিকট মেয়াদী ঝুঁকিও অনেকটা আকস্মিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরে জুন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি থাকার কথা ৫ দশমিক ৮ শতাংশের নিচে। কিন্তু এরই মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অসহনীয় মাত্রায় রয়েছে।
‘এ মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ; যা নভেম্বরেও ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ’
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এমআইএস/এমএ/