ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চালের দাম ৪০ টাকার নিচে নামবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
চালের দাম ৪০ টাকার নিচে নামবে না বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

ঢাকা: কৃষকের লাভের কথা বিবেচনা করে চালের কেজি ৪০ টাকার নিচে আর কখনো নামবে না বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, চালের দাম অ্যারাউন্ড ৪০ টাকাই থাকবে, সেটাই বর্তমানে আছে।

পাশাপাশি তেলের দাম নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বাড়ছে। আমরা লোকসানের দিকে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

চাল নিয়ে জাতীয় সংসদে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং নিজের দুই রকম তথ্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি বলেছি সরকারি-বেসরকারি মিলে আমদানি ২৮ লাখ মেট্রিক টন। তিনি (খাদ্যমন্ত্রী) উত্তর দিয়েছেন ৮ লাখ মেট্রিক টন, সেটা সরকারি অন্তর্ভুক্ত। আর মিডিয়ায় বললো, দুই মন্ত্রীর দুই রকম তথ্য।

গত বছর হাওর অঞ্চলে ১০ লাখ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশ উদ্বৃত্ত থেকে খদ্য ঘাটতির দিকে যাচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বন্যায় পিঁয়াজ এবং ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা এখন খাদ্যউদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে থাকবো। বন্যার পর ফসল আসছে এবং আসবে। আমার জন্মস্থান ভোলায় চাহিদার থেকে চার লাখ মেট্রিক টন বেশি উৎপাদিত হয়েছে। সুতরাং আমরা উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবেই থাকবো।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ২৪ জানুয়ারি মোটা চালের পাইকারি দাম ৩৮-৪০ টাকা, খুচরা মূল্য ৪৩-৪৫ টাকা। আমরা সরকারি দাম নির্ধারণ করেছি ৩৯ টাকা, অ্যারাউন্ড ৩৯ টাকাই থাকবে।

বর্তমানে চালের বাজার দর স্বাভাবিক মনে করছেন কিনা? প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকের দিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে। চালের দাম তখন কম ছিল, সাংবাদিকেরাও লিখেছেন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, উৎপাদন খরচ এই, বাজারে পাচ্ছে এই। এজন্য কৃষককে গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষক যদি চাল উৎপাদন থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।

“সেজন্য আমার ব্যক্তিগত মতামত ৪০ টাকার নিচে কখনও চালের দাম আসবে না আর। এটা আমি মনে করি এবং এটা বাস্তবসম্মতও না। সুতরাং চালের দাম অ্যারাউন্ড ৪০ টাকাই থাকবে এবং সেইটাই বর্তমানে আছে। ”

আমদানির তথ্য দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি খাতে ১০ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য আমদানি হয়েছে। এরমধ্যে চাল ৬ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন এবং গম ৩ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন। আর বেসরকারি খাতে ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য। চাল ১৯ দশমিক ৩২ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ৩৭.৩২ লাখ মেট্রিক টন। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি খাতে মোট চাল আমদানির পরমাণ ২৫ লাখ মেট্রিক টন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পিঁয়াজের দাম আস্তে আস্তে কমে গেছে। শাক-সব্জির দামও তো কম না। গত বছরের জানুয়ারিতে পিঁয়াজের মূল্য ছিল ২৫০ মার্কিন ডলার। আর ভারত এবার দাম ঠিক করেছিলো ৮৫২ ডলার। আমি পিঁয়াজ আমদানি করবো ইন্ডিয়া থেকে, আমি এখানে লোকসান দিয়ে তো বিক্রি করবো না। যে দামে কিনি তার থেকে দুই-চার-পাঁচ টাকা লাভে বিক্রি করি; দামটা সেভাবে।

প্রসঙ্গক্রমে মন্ত্রী আরও বলেন, এখন আবার তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, আবার তো আমরা লোকসানের দিকে চলে যাচ্ছি। তেলের দাম কত বলা হয়েছে, দাম কমানোর সাথে সাথে আমরাও কমিয়েছি। এখন আবার তেলের দাম বাড়ছে এবং এটারও একটা প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।