শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট ছোট পান বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে (৬০টি পান)। একটু ভালো পান বিক্রি হচ্ছে ২০০টাকা দরে।
এদিকে খিলি পান দোকানগুলিতে ছোট পান বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা দরে। অনেকে আবার পানের দাম বাড়ায় খিলি পান বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। কথা হয় পান ব্যবসায়ী কমল রায়ের (৪০) সঙ্গে, তিনি বাংলানিউজকে জানান, বদরগঞ্জে পান আমদানি নির্ভর এলাকা। এ সময়টাতে এখানে শুধুমাত্র রাজশাহী, বিরামপুর, ভেড়ামারা থেকে পান আসে। তবে এবার ঘন কুয়াশার কারণে পানের বরজে ছত্রাকের আক্রমণ বেশি হওয়ায় পান নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য মোকামেই পানের দাম বেশি।
বাজারে পান ক্রয় করতে আসা ক্রেতা নওশাদ আলি বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে পানের দাম কেন বেড়েছে বুঝতে পারলাম না। আড়তদাররা অধিক মুনাফার জন্য বেড়েছে নাকি মোকামে পান সংকট।
তিনি আরও বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পানের সরবরাহ থাকলেও পানের দামে কমতি নেই।
বদরগঞ্জ খিলি পান সমিতির সাবেক সভাপতি মোহন দাস বাংলানিউজকে জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে পানের দাম শ’য়ে (৬০টি) দ্বিগুন হয়েছে। এ কারনে খিলি পান ৫ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। যা আগে আমরা ২-৩ টাকায় বিক্রি করেছি।
তিনি আরও জানান, পানের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় খিলি পান বিক্রি অনেক কমে গেছে ও অনেক খিলি পান দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।
বদরগঞ্জ পান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুন্নাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মোকামেই দাম বেশি হওয়াতে পানের দাম বেড়েছে। তবে তিনি পানের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের কারসাজির কথা অস্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এএটি