অন্যদিকে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ না থাকার কারণেই চাল ও পিঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক হচ্ছে না।
সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৫০ ও আমদানি করা পিঁয়াজ ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২, বিআর-২৮ কেজি প্রতি ৫২, পারিজা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা দরে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরের কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের পিঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফাহিম বাংলানিউজকে বলেন, পিঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হওয়ার মতো যোগান এখনো আসেনি। তবে আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন সামনের সপ্তাহে নতুন চালান এলে দাম কমতে পারে।
এদিকে চাল নিয়ে ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের বিক্রেতা বলেন, যে যাই বলুক না কেন বোরো মৌসুমের আগে চালের দাম কমবে না। তবে তখনো যে কমবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। মিল মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের যে সিন্ডিকেট তাতে এত সহজে দাম কমবে না।
সবজির খুচরা বাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগত ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবজি, মাছ ও মাংস তারা স্বস্তিদায়ক ক্রয়মূল্যে কিনতে পারছেন। যা বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু চাল ও পিঁয়াজের ক্রয়মূল্য ক্রেতাদের জন্য সব থেকে বেশি অস্বস্তিদায়ক। দ্রুত এই দুই পণ্যের মূল্য কমানোর দাবিও জানান তারা।
মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, আগে প্রতি সপ্তাহের বাজার এক সঙ্গে করতাম, বিশেষ করে চাল ও পিঁয়াজের। কিন্তু এখন অল্প অল্প করে প্রতিদিন কিনি এই আশায় যে, কাল বুঝি দাম কমবে। কিন্তু তা আর হয় না। চাল ও পিঁয়াজের মূল্য ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বাজে প্রভাব ফেলছে।
তবে চাল ও পিঁয়াজ নিয়ে ক্রেতাদের অসন্তুষ্টি থাকলেও ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, চিনি, আদা, ডালের দাম। দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। মাছের বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এমএসি/এমজেএফ