বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ তিনি মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিলো।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির স্বচ্ছতা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চাল বিতরণ কার্যক্রমে কোনো ধরনের অসাদুপায় বা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তা কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে।
দেশে বর্তমানে রেকর্ড পরিমাণের কাছাকাছি খাদ্যশস্য মজুত আছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের কাছে ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। যার মধ্যে ১০ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন হলো চালের মজুত। এ সপ্তাহের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমন মৌসুমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬ লাখ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন সংগ্রহ করেছে সরকার। বাকিটা কিছু দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। তাছাড়া মে মাস থেকে বোরো সংগ্রহের কাজের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
এতো মজুতে পরও কেনো বাজারে চালের দাম বেশি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মজুতের সঙ্গে বাজার দরের কোনো মিল নেই। তবে একটি মৌসুম শেষ হওয়ার পর আরেকটি মৌসুম আসার দুই-এক মাস আগে চালের দাম কিছুটা বেশি থাকে। তাই গত কয়েক দিনে চালের দাম ১-২ টাকা বেশি হয়।
মোটা চালের দাম কতো হলে স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হবে? এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি ৪০ টাকা নিচে চালের দাম হওয়া উচিৎ নয়। না হলে কৃষকরা তাদের পরিশ্রমের ন্যায্যমূল্য পাবে না। তাহলে ফসল ফলাতে তারা আর আগ্রহী হবে না।
সভায় খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এমএসি/জিপি