রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণে মোট ৩৫ জন বিচারক অংশ নেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যারা বেআইনিভাবে দেশের সম্পদ লুট করেছে তাদের কাউকে মাফ করবেন না। এজন্য আপনাদের যত ধরনের সহযোগিতা দরকার সরকারের পক্ষ থেকে তাই দেওয়া হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা ঋণখেলাপি ও আর্থিক খাতে অনিয়ম করছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। যারা নির্দোষ তাদের যাতে কোনো রকম হয়রানি করা না হয়।
কর্মশালা উদ্বোধন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই বছরের শেষ নাগাদ উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে। বর্তমানে ৩৯০ জন বিচারক রয়েছেন। ২০১৮ সালে আরও ১৮৪ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে আদালতে ৩৩ লাখ মামলা রয়েছে। এই মামলার জট নিরসনই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে বিচারক নিয়োগ, সারাদেশে নতুন করে আদালতের ভবন নির্মাণসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রত্যেক জেলার আদালত ভবন সংস্কার করা হচ্ছে। এগুলো আরও বড় করা হচ্ছে।
এখন নতুন করে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে নতুন করে ৫-৭ হাজার বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে। দ্রুত মামলার জট নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানান তিনি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮/আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা
এমএফআই/আরআর