মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পের আওতায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সার্বিক অটোমেশনের জন্য প্রয়োজনীয় আইসিটি সুবিধা তৈরি করা হবে।
‘বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যান্ড প্রাইভেট পেনশন মার্কেট ডেভেলেপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পের ৫১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ সহায়তা দিবে বিশ্বব্যাংক। বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে আইডিআরএ।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আইডিআরএ এবং বাংলাদেশ বিমা একাডেমির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমা করপোরেশনগুলোকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করা হবে।
এসবের ফলে সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিমা খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। একই সঙ্গে, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সৃষ্টি করা কবে। এছাড়া বিমা একাডেমির প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন, বিমা সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিমা খাতে ঝুঁকিভিত্তিক তত্ত্বাবধান পদ্ধতি প্রবর্তন, বিমা তথ্য বিশ্লেষণ ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে পরামর্শক সেবা সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে আইডিআরএর সদস্য গকুল চাঁদ দাস বলেন, বিমা খাত অটোমেশন হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। ফলে বিমার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে, যা টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়নে বিমা খাত ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। আর্থিক খাতের ঝুঁকি নিরসনের ক্ষেত্রে বিমা খাত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাংলাদেশে বিমা খাতের পরিসর সীমিত।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ