বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড সেটেলমেন্টস এবং সুইস আর্কিটেকচার মিউজিয়ামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে এ প্রদর্শনী। প্রদর্শনী উপলক্ষে স্থাপত্য প্রকল্পগুলোর ছবি নিয়ে ‘বেঙ্গল স্ট্রিম: দি ভাইব্রান্ট আর্কিটেকচার সিন অফ বাংলাদেশ’ নামে বই প্রকাশ হয়েছে।
শুক্রবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় হোটেল ওয়েস্টিনে এ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান উচ্চ মানসম্পন্ন। বইটি পড়লে ও ছবিগুলো দেখলে বাংলাদেশের স্থাপত্যের গৌরব, স্থাপত্যের ধারা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের স্থপতি ডা. আহমদ হাসান দানি অনেক ভালো কাজ করতেন।
বিশেষ অতিথি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, আমাদের যা ভূমি রয়েছে, তার প্রতিটি ক্ষেত্র আমাদের প্ল্যান করে খরচ করতে হবে। মানুষের তুলনায় আমাদের ভূমি কম। সে কারণে এই পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। পাঁচ বা ১০ বছরের পরিকল্পনা দিয়ে হবে না। আমাদের শত বছর বা তারও বেশি সময়ের পরিকল্পনা দরকার। শুধু নিজেদের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথাও আমাদের এখন ভাবতে হবে।
এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্থপতিদের ৬০টি স্থাপত্য প্রকল্প স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাইক্লোন শেল্টার (কক্সবাজার), বশিরুল হকের হোম অফ স্টুডিও, শুকতারা রিসোর্ট, এসওএস ইয়োথ ভিলেজ, রিভার ইরোশন প্রজেক্ট, শ্রীপুরের উৎস ভিলেজ, গুলশান সোসাইটি মসজিদ, ফ্রেন্ডশিপ স্টোর গাইবান্ধা, বাইতুর রউফ মসজিদ (উত্তরা) এবং জল ও জঙ্গল পূবালী রিট্রিট।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হলেনস্টেইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক স্থপতি কাজী খালিদ আশরাফ, বেঙ্গল স্ট্রিম প্রদর্শনীর কিউরেটর ও বইটির সম্পাদক নিক্লস গ্র্যাবার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
সুইস স্থপতি নিক্লস গ্র্যাবার বাংলাদেশেরে সমকালীন স্থাপত্যের সেরা উদাহরণগুলো নিয়ে ইউরোপে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, চলবে এ বছরের মে মাস পর্যন্ত। এরপর এ প্রদর্শনী জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ গ্যালারিতে হবে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে এ প্রদর্শনী হবে।
স্থাপত্য প্রকল্পগুলোর ছবি তুলেছেন প্রখ্যাত স্থাপত্য ফটোগ্রাফার ইউয়ান বান। তার ছবি স্থান পেয়েছে বইটিতে। এর পাশাপাশি প্রকাশিত বইটিতে অ্যাড্রিয়াস রুবি, নিক্লস গ্র্যাবার, কাজী খালিদ আশরাফ, সাইফ উল হক এবং সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৮
এসই/এসআই