সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ফার্মগেট, জাতীয় প্রেসক্লাব, মিরপুর ও বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই দেখা গেছে।
রাজধানীর বিএফডিসি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় চাল-আটা বিক্রির ছোট ট্রাকে বসে অলস সময় পার করছেন মনিরুল ইসলাম ও আব্দুল মোতালেব।
যে সময় ক্রেতাদের লাইন সামলো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা সেখানে অলস সময়ে পত্রিকা পড়ছেন মনিরুল। আর তার সহকর্মী মোতালেব যেন ঘুম ঘরে!
কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তারা বলেলেন, ৩০ টাকা কেজি দরের চাল কেনার ক্রেতা নেই। মাঝে মাঝে দুই একজন ক্রেতা আসেন। তাই অলস বসে আছি।
মনিরুল জানান, প্রতি ট্রাকে এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা রয়েছে। অথচ সকাল ১১টা পর্যন্ত আড়াইশ কেজি আটা ও ৩৫০ কেজি চাল বিক্রি হয়েছে। এখনও ১৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) চাল ও ১৫ বস্তা আটা অবিক্রি রয়ে গেছে।
ক্রেতার সাড়া না পাওয়া প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম বলেন, এখনও অনেকে জানে না ওএমএস-এ চাল বিক্রির খবর। আরও কিছু দিন গেলে বিক্রি ভালো হবে। এবার আমাদের চাল ও আটার মান ভালো।
‘আমরা বলতে পারি ৩০ টাকা কেজির চাল অন্য বাজারে ৪০ টাকায় পাওয়া যাবে না। আমরা যে আটা ১৭ টাকা দরে বিক্রি করছি অন্য বাজারে ২৫ টাকা। ’
বিক্রি কম হওয়ায় একই কথা জানালেন প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বসা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামও। তার কথায়, মাত্র শুরু হইছে। কয়দিন গেলে লোকজন বাড়বো।
ফার্মগেট এলাকায় একটি ট্রাক থেকে পাঁচ কেজি চাল কিনেছেন রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম। তিনি মধুবাগ এলাকায় থাকেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দামে সস্তা। অন্যবারের চেয়ে এবারের চাল ভালো।
রোববার (০৪ মার্চ) থেকে দেশজুড়ে ওএমএস-এর মাধ্যমে স্বল্প দামে চাল বিক্রি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদফতর। এর আওতায় প্রতি ডিলার একটন করে চাল বরাদ্দ পাচ্ছেন।
একজন ক্রেতা সর্বাধিক ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা, আর আটা রাখা হচ্ছে ১৭ টাকা কেজি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব চাল-আটা কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
এদিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে সরকারের গোডাউনে প্রায় ১১ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৩ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন গম মজুদ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
এমআইএস/এমএ