প্রায় ৫ বছর ধরে এ সমিতি সহস্রাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে সঞ্চয় ও বিভিন্ন মেয়াদে বিমার টাকা আদায় করলেও তাদের ঋণ ও সঞ্চয়ের মুনাফা দিতে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার শ্যামগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ওই সমিতি ২০১২ সালে সমবায় অধিদফতর থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সেখানে প্রধান কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি শাখা ব্রাঞ্চের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
কিন্তু পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও এ সমিতির সদস্যদের মধ্যে ঋণ বিতরণ অথবা পাঁচ বছরে জমাকৃত সঞ্চয়ের বিপরীতে কোনো মুনাফা দেয়নি।
এদিকে সদস্যদের বিমার মেয়াদ শেষ হলেও বিমা দাবি নিষ্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করেছে। ঋণ তো দূরের কথা সঞ্চয় ও বিমার টাকা না পেয়ে সমিতির সদস্যরা বর্তমানে রয়েছেন দুশ্চিন্তায় এবং তাদের মধ্যে বিরাজ করছে টাকা না পাওয়ার আতঙ্ক।
এ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম (৩০) উপজেলার মেছিডেঙ্গী গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় কান্দুলিয়া গ্রামের সমিতির সদস্য নুরুনাহার, জ্যোতি রানী, রুমেছা খাতুন, জায়েদা খাতুন, সাবিনা, সেলিনা, নিজাম উদ্দিন, বিলকিছ বেগম, হাওয়া খাতুন, আয়েশা খাতুন, তানজিলা আক্তারসহ আরও অনেকেই তাদের টাকা ফেরত পেতে ও সমিতির নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে সমিতির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনটি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে তাদের সমিতির কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ইতোমধ্যে দুটি ব্রাঞ্চের কার্যক্রম স্থগিত করে সদস্যদের দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমানে শুধুমাত্র এ সমিতির শ্যামগঞ্জে প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ব্রাঞ্চের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। তাদের সব দেনা পাওনা মিটিয়ে উক্ত ব্রাঞ্চের কার্যক্রমও তারা বন্ধ করে দিবেন। এক্ষেত্রে সমিতির সদস্যদের টাকা পরিশোধের জন্য তাদের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে গৌরীপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সমিতির কার্যক্রম মোটেও সন্তোষজনক নয়। উল্টো গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। তাই এ সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এমএএএম/আরআইএস/