শুক্রবার (৩০ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানানো হয়।
রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমান বলেন, প্রকল্পভূক্ত কোনো ফ্ল্যাটই এখন পর্যন্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাসের উপযোগী নয়।
সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রসারিত উত্তরা প্রকল্প (৩য় পর্ব) ১৮ নং সেক্টরের 'এ' ব্লকে ৮৪টি ১৬তলা ভবন নির্মাণ করে ৩৭০ বর্গফুট কমন স্পেসসহ ১২৫০ বর্গফুট আকৃতির ফ্ল্যাট ৬৬০০ জনকে বরাদ্দ দেয়ার লক্ষ্যে ‘উত্তরা রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প’ হাতে নেওয়া হয়। প্রতি বর্গফুটের মূল্য ৩৫০০ টাকা হিসেবে প্রতিটি ফ্ল্যাটের মূল্য ধার্য করা হয় ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আবেদনের শর্তানুযায়ী তিন লাখ টাকা জামানত এবং সেই সঙ্গে সর্বমোট ৮ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য প্রতি কিস্তিতে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকা হিসেবে প্রথম কিস্তি জমা দিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত লটারির মাধ্যমে বরাদ্দপ্রাপ্ত ২৬২১ জনকে ৩১ মে ৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে ফ্ল্যাটের চাবি বুঝে নেওয়ার জন্য পত্র জারি করা হয়েছে।
এসময় সমিতির পক্ষ থেকে বসবাস উপযোগী ফ্ল্যাট বিষয়ক দাবিগুলোর পাশাপাশি উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টর থেকে মিরপুর ১১ নম্বর বরাবর নির্মীয়মান রাস্তা দ্রুত নির্মাণের দাবি জানানো হয়। প্রকল্প এলাকাটি বসবাসের আনুষাঙ্গিক সুবিধা সৃষ্টির দাবিগুলো আদায় না হলে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ১০ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সহ ফ্ল্যাট বরাদ্দপ্রাপ্ত মালিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এসএ/এসএইচ