ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান মার্চেন্টন্স চেম্বার (আইএমসি) অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদর দফতরে আয়োজিত সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘বাংলাদেশ: অ্যান অ্যাট্রাক্টিভ বিজনেস ডেসটিনেশন অ্যান্ড পটেনশিয়ালস ফর গ্রোথ ইন ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’।
শুক্রবার (৩০ মার্চ) মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএমসি চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ড. ললিত কানোডিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আইএমসি’র প্রায় ৪০ সদস্য ও মুম্বাইয়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
সেমিনারে মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মো. লুৎফর রহমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির সাম্প্রতিক চিত্র উপস্থাপন করেন। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি এবং দারিদ্র হ্রাস, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ, রেমিটেন্স বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতির বিষয় তুলে ধরা হয়।
সেমিনারের দ্বিতীয় অংশে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বর্ণনা করেন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।
সেমিনারে হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী উপস্থিত ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে যেকোনো বিষয় জানতে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং মুম্বাইয়ের উপ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান।
ভারতের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র মুম্বাইয়ে আয়োজিত এ ধরনের বাণিজ্যিক সেমিনার এটাই প্রথম। সেমিনারটি ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
আইএমসি’র প্রেসিডেন্ট ড. ললিত কানোডিয়া বাংলাদেশে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল পাঠানোসহ অন্যান্য বিষয়ে হাইকমিশন ও উপ-হাইকমিশনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
জিপি/