শনিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘নির্মাণ শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম।
ইনসাবের পক্ষ থেকে শ্রম আইন সংশোধন করে নিহত নির্মাণ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ লাখ এবং আহত ও আজীবন পঙ্গুত্ব বরণকারীদের ২০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এই দাবির প্রেক্ষিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, শ্রম আইনে তো শ্রমিকদের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ শ্রমিকদের তো কোনো নিয়োগপত্র নেই, পরিচয়পত্র নেই। নেই কোনো নির্ধারিত বেতনও। আপনারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। প্রথমে নির্মাণ শ্রমিকদের একটি কাঠামোতে আনতে হবে।
‘তারপর আপনাদের জন্য পেনশন, বসবাস, রেশনিং ব্যবস্থা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার কথা চিন্তা করা যাবে। তবে এই মুহূর্তে একটা কাজ করা যেতে পারে সেটা হলো- এই সংগঠনের অধীনে নিবন্ধিত সকল শ্রমিকেদের বিমার আওতায় আনা যেতে পারে। এর জন্যও আপনাদের উদ্যোগ নিতে হবে। আপনারা এগিয়ে আসলে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। ’
এ সময় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের প্রায় ৩৭ লাখ নির্মাণ শ্রমিক রয়েছে। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন কল-কারখানায় কাজ করছেন। এই শ্রমিকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার জন্য ত্রি-পক্ষীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য পেনশন স্কিম, বাসস্থান, রেশনিং ব্যবস্থা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য আলাদা মেডিকেল ইউনিট গঠন, বাজেটে নির্মাণ শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখার দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চার শ্রমিককে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
এর মধ্যে মো. আছান উল্লাহ ও আলী সরদারকে ৫০ হাজার টাকা করে, আব্দুল কালামকে ৬০ হাজার এবং শাহীনূর আক্তারকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এমএফআই/এমএ