ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব নয় নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক জাতীয় কনফারেন্স

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন অর্জনের ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেগুলো অর্জনের প্রধান মাধ্যম শিক্ষা। সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

শনিবার (৩১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক জাতীয় কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধে এ মতামত দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিক আহসান।

‘বাংলাদেশে টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন, শিক্ষায় করণীয়, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক দু’দিন ব্যাপী এ জাতীয় কনফারেন্সের আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে এতে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এসময় বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কো বাংলাদেশের শিক্ষা প্রধান সু লাই, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ আলী মোল্লা, বাংলাদেশ উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক কাজী এম আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। আর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. মো. আব্দুল মালেক।

মন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) চার নম্বর বিষয়-শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট। এজন্যই দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এসডিজি’র অংশ হিসেবে শিশুদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলাম আমরা। যেটি আজ সফল হয়েছে।
 
অধ্যাপক তারিক আহসান বলেন, এখনো ঔপনিবেশিক কাঠামোর এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আইডেনটিক্যাল পারসন বা একই ধরনের ব্যক্তি তৈরি করতে পরিচালিত হয়। ব্রিটিশ আমলে এর মূল লক্ষ্য ছিল সাম্রাজ্যবাদীদের সেবা করতে শেখা, শিল্পায়নের পরে এখন সেটির প্রধান লক্ষ্য চাকরির যোগ্যতা অর্জন। ফলে সৃজনশীলতা বাক্সবন্দি হয়ে গেছে। লিখিত পরীক্ষাকেই ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীলতা পরিমাপের একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে বিচার করা হয়। যে বৈশ্বিক, সামাজিক ও পারিবারিক পরিবর্তন শিক্ষার্থী ঘরে, বাইরে দেখে-শেখে ও ব্যবহার করে সেটির প্রয়োগ শ্রেণিকক্ষে, পরীক্ষার খাতায় নেই বলে স্কুলের পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

সম্মেলনে শিক্ষা বিস্তারে ব্যক্তি উদ্যোগকে স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। দু’দিন ব্যাপী সম্মেলনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা সর্বমোট ১১৩টি মৌলিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থান করবেন। যা থেকে উঠে আসবে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকা, শিক্ষাক্ষেত্রে করণীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রের সম্ভাবনা। এছাড়াও গবেষণাধর্মী চারটি থিম পেপারও সম্মেলনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।