রোববার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন’-এ বক্তব্য রাখছিলেন অর্থমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মুহিত বলেন, ব্যাংকিং খাতের বড় চ্যালেঞ্জ হলো কিভাবে ক্যাপিটাল মার্কেট সৃষ্টি করা যায়।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি চাকরির প্রধান উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া, হুকুম দেওয়া নয়। সেবা দেওয়ার চরিত্র আরও বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ বছর নির্বাচনের বছর উল্লেখ করে তিনি বলেন, অথর্নীতিতে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ নেই। আগে নির্বাচন ঘিরে যে ‘অন্যরকম’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো, যা এখন নেই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির তার বক্তব্যে বলেন, ব্যাংকের উন্নতির জন্য বড় অর্থের লোন দিতে খুব একটা আগ্রহী না হলেও চলবে। তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি লোন বেশি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা কমিয়ে নিতে একটি অ্যাকশন প্লান নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। গর্ভন্যান্স ইস্যু আরও জোরদার করতে হবে।
বক্তব্যে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা সামসুদ্দোহা বলেন, এ মাস থেকে জনতা ব্যাংকের পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হবে। পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ব্যাক্তিকে সঠিক স্থানে পদায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর সব মডিউল অনলাইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া এটিএম বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং ও কল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ব্যাংকিং লেনদেন সেবায় নিরাপত্তা উন্নীতকরণের জন্য ব্লকচেইন আনার কথাও উল্লেখ করেন লুনা সামসুদ্দোহা।
বড় লোন নয় এসএমই লোন ও বিদ্যুৎখাতে লোনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেই সঙ্গে আইসিটি খাতেও ছোট লোন দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস উন্নত না হওয়ার কারণ নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা ভাব নিয়ে এক ধরনের আচরণ।
‘রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে ভালো কাজের পুরস্কার, মন্দ কাজের শাস্তি দিতে হবে। সাধারণ মানুষ সরকারি ব্যাংকে যে আস্থা নিয়ে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তাদের সে আস্থার প্রতিদান দিতে হবে’।
সম্মেলনে জনতা ব্যাংকের পরিচালক বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এসএ/জেডএস