২০১৭-১৮ অর্থবছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে (জানুয়ারি-মার্চ) সাধারণ মূল্যস্ফীতির পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মার্চ মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে (জানুয়ারি-মার্চ) গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ হয়েছে। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে (জানুয়ারি-মার্চ) শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে বেড়ে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ হয়েছে। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিবিএস এর হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মার্চ মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি ও অন্য খাদ্যসামগ্রীর দাম চড়া। তবে মাসওয়ারি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্যাদির দাম কমেছে বলে দাবি করে বিবিএস।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এখন মূল্যস্ফীতি প্রকাশে ভিন্নতা এসেছে। কোয়ার্টারলি মূল্যস্ফীতি প্রকাশ করা হয়। এতে মূল্যস্ফীতির হার বেশি দেখাচ্ছে। তবে মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতি কমেছে। যেমন ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, মার্চে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বছরওয়ারি বাড়লেও মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতির হার কমেছে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এমআইএস/এএ