ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জমেছে ‘৩য় পেপারটেক এক্সপো ২০১৮’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৮
জমেছে ‘৩য় পেপারটেক এক্সপো ২০১৮’ ‘পেপারটেক এক্সপো’র দ্বিতীয় দিন জমে উঠেছে-ছবি শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর কুড়িলে অবস্থিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা’য় (আইসিসিবি) চলছে কাগজজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘৩য় পেপারটেক এক্সপো ২০১৮’। প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে কাগজের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যবসায়ীদের ব্যাপক পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে।

বাংলাদেশসহ সর্বমোট ৮টি দেশের অংশগ্রহণে চলমান এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যাপক সাফল্যের আশাও দেখছেন অংশগ্রহণকারী বিদেশি ব্যবসায়ীরা। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ও ব্যাবসায়িক লেনদেনের উপর নির্ভর করেই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) আইসিসিবির ১ ও ৩ নম্বর হল ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।  

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী চীন থেকে আগত টক অটো ইক্যুপমেন্টের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার জিন ইউন কিং বাংলানিউজকে জানান, আমরা আশা করিনি এতোটা সাড়া পাবো। বৃহস্পতিবারের চেয়ে আজ জনসমাগম বেশি। এছাড়া বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের অনেক চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় আশাব্যাঞ্জক বিষয় হচ্ছে এ দেশের ব্যবসায়ীরা এখন বিশ্বমানের উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি কেনার প্রতি অনেক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর এর মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে যে কাগজ শিল্পে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পের মতোই এগিয়ে যাচ্ছে।  

এদিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী রিয়ান চৌধুরী জানান, আমি আমাদের প্রেসের উৎপাদনের মান ও পরিমাণ বাড়াতে অনেকদিন ধরেই আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ক্রয়ের ইচ্ছা লালন করে আসছি। গতবছরই এই পেপারটেক এর কথা শুনেছিলাম, কিন্তু আসা হয়নি। গতকাল বাংলানিউজ-এ প্রদর্শনীর খবর দেখেই আজ এসেছি। ঘুরে দেখছি, চাহিদা ও দামের সঙ্গে মিল পেলেই অর্ডার করে যাবো।

এছাড়া নতুন নতুন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং আমাদের ব্যবসায়িক আইডিয়ার ক্ষেত্রে এ প্রদর্শনী অনেক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন ফকিরাপুল থেকে আসা 'এ অ্যান্ড ডি' কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, কাগজ শিল্পের একটি ফ্যাক্টরি স্থাপন করা যথেষ্ট ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এছাড়া এখন গ্রাহকরা প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক ভালো মান আশা করেন। যে কারণে ভালো মানের যন্ত্রপাতিও অনেক জরুরি।  

এদিকে এক্সপোটির প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দ মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে জানান, এই মেলা অন্যান্য মেলার মতো হাজার হাজার দর্শকদের জন্য নয়। এখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সফট সাপ্লাইয়ারদের সুসম্পর্ক স্থাপন হবে। তারপরও ব‍্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এতোটা আমাদের আশাও ছিল না। গতবারের চেয়ে এবারে আমাদের সাফল্যের পরিমাণটা অনেক বেশি। কারণ কাগজ শিল্প অনেকটা গার্মেন্টস শিল্পের মতো উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশের চাহিদা মেটাতে পেরেছি অনেক আগেই। এখন দেশের বাইরে কাগজ রপ্তানি করছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬,  ২০১৮
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।