তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন সরকার মসৃণভাবে পালাবদল করবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকাস্ত চীনের দূতাবাসে ‘পাবলিসিটি অব চায়না ইন্টারন্যাশনাল এমপোর্ট এক্সপো অ্যান্ড বাইল্যাটারেল ইকোনমিক কোঅপারেশন’ বিষয়ক প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন গুয়ংজুন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। ইতিমধ্যে চীন বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। তাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ থাকবে।
লি গুয়ংজুন বলেন, নভেম্বরে চীনের সাংহাই শহরে এ আন্তর্জাতিক মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ মেলা বিশ্ব জনগণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করতে। মেলায় সব দেশ একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। বলা যেতে পারে এটি একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে সবাই স্বাগত। এখানে শুধু চীনের পণ্য নয় বিশ্বের যে কোনো পণ্য প্রদর্শন করা যাবে।
২০১৮ সাল চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীনে এ বছর নির্বিঘ্নে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, যোগ করেন লি গুয়ংজুন। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণ করায় শুভেচ্ছা জানান তিনি।
চীনের সরকার বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে থাকে।
২০১৬ সালে চীনের প্রসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বেশ কিছু সমঝোতা হয়েছে।
সেগুলোর অবস্থা কী জানতে চাইলে লি গুয়ংজুন বলেন, সমঝোতা কোনো চুক্তি নয়। সমঝোতা হলো দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে একটি মানসিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রত্যয়। বাণিজ্য একটি বড় ইস্যু। বছরে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চীন থেকে আমদানি করে ১৫ বিলিয়ন ডলার আর চীন বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে ১ বিলিয়ন ডলার। চীন কাউকে বাধ্য করে না এ বৈষম্যের জন্য। এটি মার্কেটের কারণে হয়ে থাকে। যেখানে যেমন চাহিদা সেভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। এ বৈষম্য কমবে বলে আমি মনে করি না, তবে চীন বাংলাদেশ থেকে আরো পণ্য আমদানি করবে।
তৈরি পোশাক সম্পর্কে তিনি বলেন, চীনে এই পণ্যের বাংলাদেশি বাজার বাড়ছে। কারণ চীনে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দিন দিন বাড়ছে।
চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার আরো বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশে নানান পণ্য বিশ্ব বাজারে ছড়াতে চীনের বিনিয়োগ পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
কেজেড/এমজেএফ