ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রাকৃতিক পরিবেশে যশোরের অরণ্য ভ্যালী কনভেনশন সেন্টার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
প্রাকৃতিক পরিবেশে যশোরের অরণ্য ভ্যালী কনভেনশন সেন্টার  যশোরের অরণ্য ভ্যালী কনভেনশন সেন্টার ও রেস্টুরেন্ট। ছবি:বাংলানিউজ

যশোর:  রুচিকর খাবার আর আভিজাত্যের ছোঁয়ায় যশোরে যাত্রা শুরু করেছে ‘অরণ্য ভ্যালী কনভেশন সেন্টার অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মিলাদের মধ্য দিয়ে যশোর-মাগুরা সড়কের হাশিমপুরে প্রতিষ্ঠিত কনভেনশন সেন্টার ও রেস্তোরাঁটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় যশোর কুইন্স হসপিটাল (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখার ব্যবস্থাপক মো. আসাদুর রহমান,  অরণ্য ভ্যালী কনভেশন সেন্টার অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন, লিগাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

ঢাকা-যশোর মহাসড়কের হাশিমপুর বাজারের পাশেই প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠেছে এ কনভেনশন সেন্টার।

লাল রংয়ের ইট ও সামনের অংশে ছাউনিতে নির্মিত সু-সজ্জিত সেন্টারের লাল মাটির টালি আগতদের দৃষ্টি কেড়েছে এরই মধ্যে।  

অরণ্য ভ্যালীর ভেতরের সাজ-সজ্জা।                                          ছবি: বাংলানিউজপাশাপাশি গোটা ভবনটির চারপাশে দেবদারুসহ বিভিন্ন প্রজাতির সারিবদ্ধ গাছ ও নির্মাণ শৈলীতে বিমোহিত হচ্ছেন আগত অতিথি ও ক্রেতারা।  

সংশ্লিষ্টরা জানান, অরণ্য ভ্যালী-তে কনভেশন হল ছাড়াও রয়েছে কফি ও স্ন্যাক্স হাউজ, কনফারেন্স রুম, মিটিং রুম, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, লাইব্রেরি ও ফটোসেশনের জায়গা।  

নামাজের জায়গা, নিজস্ব জেনারেটর, গাড়ি পার্কিং, সিসি ক্যামেরা ও অতিথিদের আনা-নেওয়ার জন্য মাইক্রোবাস সেবা তো রয়েছেই।  

প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অরণ্য ভ্যালীর চাইনিজ ও বাংলা রেস্তোরাঁয় গরুর মাংসের কালো ভুনা, চুঁই ঝালের খাসির মাংস, গরু ও খাসির ভুনা, খিচুড়ি, ডাল, চিকেন রোস্ট, বিভিন্ন ধরনের সবজি, কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি রয়েছে খাওয়ার মেনুতে।  

ভর্তার মধ্যে প্রতিদিনই মিলে ডাল ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ডিম ভর্তা, কলা ভর্তা, আলু ভর্তা। পাওয়া যাচ্ছে সব ধরনের সালাদ ও নুডুলসসহ অর্ডার অনুযায়ী ১৬৩ ধরনের সুস্বাদু খাবার। এসব খাবার শহরের নামি-দামি রেস্তোরাঁর তুলনায় দামেও অনেক সূলভ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  

কনভেনশন সেন্টার ও রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শহরের যান্ত্রিক, একঘেঁয়ে আর স্বার্থ-চিন্তায় আচ্ছন্ন জীবনযাত্রা থেকে বেরিয়ে মানুষ যেন প্রকৃতির কাছে ছুঁটে যেয়ে পরিবার-পরিজন কিংবা অফিসিয়াল মিটিং সম্পন্ন করতে পারে সেই চিন্তা থেকেই অরণ্য ভ্যালী প্রতিষ্ঠা।  

অরণ্য ভ্যালীর অভ্যর্থনা ডেস্ক।  ছবি: বাংলানিউজ‘আশা করছি অরণ্য ভ্যালীতে আগতরা কাছ থেকেই অনুভব করবেন প্রকৃতির বিশালতা। আর জীবনকে উপভোগ করবেন নিজের মতো করে। এখানে আমরা লাভের থেকে ক্রেতার সন্তুষ্টি ও সুনামকে প্রাধান্য দিচ্ছি। ’

অচিরেই অরণ্য ভ্যালীতে আবাসিক ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ব্যবসায়ী বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে প্রতিটি সেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তবে বিভিন্ন কোম্পানি, ব্যাংক-বিমা, এনজিওসহ করপোরেটদের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।  

যে কোনো প্রয়োজনে ০১৭১১ ৯৩৫ ০১৩ ও ০১৭৬৭ ৪৯৭ ৭২৫ নম্বরে যোগাযোগ  করা যাবে বলে জানিয়েছেন ফরহাদ হোসেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
ইউজি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।