মঙ্গলবার (০৮ মে) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া এপ্রিল মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়। তথ্য প্রকাশ করার সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান মুস্তফা কামাল।
বিবিএস-এর তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছরে এপ্রিল মাসে মার্চের তুলনায় সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। মার্চে সাধারাণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ, এপ্রিলে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ ছাড়া এপ্রিল মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, তামাক, দুধ জাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্য মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে কমেছে।
খাদ্য বহির্ভূত খাতেও এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে, যা মার্চে ছিল ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, প্রসাধনী, জুতা, বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হয়েছে। এসব পণ্য ও সেবা নিয়ে স্বস্তি পেয়েছে দেশবাসী। সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী।
তিনখাতে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলসহ সব পণ্যের দাম কম। মূল্যস্ফীতিতে তেল অনেক প্রভাব ফেলে। এছাড়া দেশীয় নানা খাদ্যের দামও ধীরে ধীরে কমছে। এর ফলেই মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী।
তিনি আরও বলেন, রমজানে পণ্যের দাম কমবে। আশা করছি এর পরের মাসেও সব পণ্যের দাম কম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ