ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাল-ডালে স্বস্তি, সবজিতে আগুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৮
চাল-ডালে স্বস্তি, সবজিতে আগুন রাজধানীর সবজির বাজার। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: আর মাত্র এক সপ্তাহ পরই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। রোজার মাসকে পুঁজি করে রাজধানীর ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছেন সব রকম সবজির দাম। মূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে মসলা ও মাছের বাজারে। তবে স্বস্তি এসেছে চাল, ডাল, ডিম আর মাংসের বাজারে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সবজি ভেদে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে মসলার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

 

শুক্রবার (১১ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে প্রায় সব পণ্যই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। যদিও বাজারে কোনো পণ্যের অভাব নেই।

কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা ব্যাংক কর্তমকর্তা ফরিদ উদ্দিন জানান, সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিন বা অন্যান্য ছুটির দিনে এ বাজারে কেনাকাটা করি। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে দামের ভিন্নতা বেশি দেখা গেছে।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে যে সবজি ৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছি আজ সেটা ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এজন্য তিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। তার মতে, রোজার আগে ব্যবসায়ীরাই সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন।

কারওয়ান বাজারে চিচিঙা, পটল, ধুন্দুল, করলা খুচরা দামে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আদা, রসুন, পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।

এ বাজারের সবজি বিক্রেতা সহিদ বাংলানিউজকে জানান, দেশের বিভিন্নস্থানে কিছু দিন ধরে বন্যা দেখা দিয়েছে। এজন্য সবজির আমদানি কম। তাই সব সবজিই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ঘুরে যদিও তার কথার সত্যতা মেলেনি।

অন্যদিকে চালের বাজারে স্বস্তি দেখা গেছে। এখানে ‍মিনিকেট চাল নতুন প্রতি বস্তা ২৭৫০ টাকা, পুরাতন ২৯৫০, আটাশ নতুন ২২০০, পুরাতন ২৩৫০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে চাল ভেদে ২৩০০ খেতে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত দামে।

পাইকারি চাল বিক্রেতা ও ফাতেমা রাইস এজেন্সির সত্ত্বাধিকারী মাহফুজ বাংলানিউজকে বলেন, এখন ধানের ভরা মৌসুম। এ জন্য প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজারে মাছসহ সকল সবজির দাম বাড়তি। প্রতি কেজি বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়, গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিংড়ির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা। এ বাজারে প্রতিটি সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে।

শাহিনা নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, রমজান মাস সামনে রেখে প্রতিদিনিই ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বাড়াচ্ছেন। নিয়মিত বাজার তদারকি করলে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।