বৃহস্পতিবার (১০ মে) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন-এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান, পরিচালক আব্দুল কাদির মোল্লা, বেগম সুফিয়া আমজাদ, মো. আমজাদ হোসেন, মিজানুর রহমান, মোহাম্মাদ নেওয়াজ, ইঞ্জিনিয়ার মোখলেসুর রহমান, তাহমিনা আফরোজ, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. গোলাম ফারুক। প্রধান সভায় ২০১৭ সালের আর্থিক বিবরণী এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক বিবরণীতে দেখা যায়, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত এসবিএসবি ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। এসময়ে ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে এসবিএসি ব্যাংক ১৮২ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে। এসময়ে ব্যাংক উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণের আমদানি, রফতানি ও রেমিট্যান্স আহরণ করেছে।
সভায় চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন বলেন, ব্যাংক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে কর্মকর্তাদের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে টিকে থাকতে হয়। সে জন্য এ খাতে দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তা খুবই প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে শাখা পর্যন্ত সবধরনের কর্মকর্তাদের সর্বোত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহক সন্তুষ্টি আমাদের সবচেয়ে বড় পুঁজি। সেটাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বো। তিনি কর্মকর্তাদের করপোরেট সুশাসন নিশ্চিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. গোলাম ফারুক বলেন, নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে এসবিএসি ব্যাংক সবসূচকে এগিয়ে রয়েছে। গতবছরে আমরাই সর্বাধিক মুনাফা অর্জন করেছি। আর নতুন বছরে পরিপালন সংস্কৃতি গড়ে তুলছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবধরনের নীতিমালা সম্পূর্ণরূপে পরিপালন করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। সেই সঙ্গে গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি আস্থার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।
বর্তমানে আমাদের আমানতকারীর সংখ্যা এক লাখ ৫৩ হাজার, এ সংখ্যা চলতি বছরে দুই লাখ ছাড়িয়ে নিতে চাই। চলতি বছরে আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। লেনদেন দ্রুত ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে করতে আমরা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছি। আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শাখাগুলোতে বসেও গ্রাহকরা দেশের যে কোনো জায়গায় লেনদেন করতে পারছেন। এভাবে চলতি বছরেও ভালো ফলাফল অর্জন করে সাফল্যের কেতন উড়াতে চাই, যোগ করেন গোলাম ফারুক।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এসআই