রোববার (১৩ মে) পঞ্চম বাংলাদেশ ফার্নিচার এবং ইন্টেরিয়র ডেকর এক্সপো-২০১৮ উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে চার দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এটা একটা উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় সেক্টর। বর্তমানে সরকার এ খাতের পণ্য রফতানিতে ১৫ ভাগ নগদ সহায়তা দিচ্ছে। আমরা যে নতুন ১০টি পণ্য রফতানিতে গুরুত্ব দিয়েছি, ফার্নিচার তার একটি। যদিও বর্তমানে মাত্র ৫৩ মিলিয়ন ডলারের আসবাব রফতানি হচ্ছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তারা কাঁচামাল আমদানিতে বন্ডেড ওয়্যার হাউজ সুবিধার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে আমি তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বসব। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে হবে। এটা দেওয়া সম্ভবত কঠিন কিছু না। তাদের তো সুবিধা দিতেই হবে। তা না হলে তারা রফতানি করবেন কেন?
আসবাপত্র শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আকতারুজ্জামান বলেন, এই সুবিধা পেলে তৈরি পোশাক শিল্পের মতো এ খাতেও বিপ্লব ঘটে যাবে। দেশের ৭০ হাজার কারখানার ১৮ লাখ মানুষ নতুন জীবন পাবে। কর্মসংস্থান হবে আরো লাখ লাখ তরুণের।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু বলেন, ফার্নিচার খাতটি মূলত দেশের বাজারকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। বিশ্বমানের সঙ্গে আমাদের পণ্যের মানেরও অনেক পার্থক্য রয়েছে। রফতানিতে জোর দিতে হলে আগে মান উন্নয়নে জোর দিতে হবে। কানাডা, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনের সঙ্গে আমাদের লড়াইয়ের শক্তি অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ