রোববার (১৩ মে) রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ মূল্য বৃদ্ধির কারসাজি রোধকল্পে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সভায় মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে সিটি গ্রুপের কাছে ২ লাখ ২০ হাজার টন চিনির মজুদ আছে।
তবে পাইকারি ও খুচরা দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলে জনগণ এর সুবিধা পাবে বলে মনে করেন এক ব্যবসায়ী। নিত্যপণ্যের দাম এখনো স্বাভাবিক আছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজটের কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন যানজটের কারণে সরবরাহ ঘাটতি আছে।
রমজান মাসে সবধরনের পণ্যেও পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে সহযোগিতামূলক আচরণ থাকা উচিত বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। কারণ জোরাজুরি জবরদস্তি করে কোনো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে আমার মনে হয় না।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গতবছরের একই সময়ের চেয়ে এবছর মসুর ডালের দাম ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ছোলা ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, রসুন (আমদানি) ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ, রসুন (দেশি) ৩৯ শতাংশ, চিনি ১৬ শতাংশ, লবণ ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং গরুর মাংসের দাম ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে।
সভায় এক মাংস ব্যবসায়ী গরুর মাংসের দাম বাড়ার জন্য গাবতলী গরুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। তিনি বলেন, রোজার মাসে মাংসের দাম নির্ধারণ করতে সোমবার (১৪ মে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের সভা হবে।
এসময় খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু ছাড়াও ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এসই/জেডএস