রোববার (১৩ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে সংস্থাটি।
তারা জানায়, গত বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে হাওরাঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারিনি।
লিখিত বক্তব্যে হ্যাপের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, হাওরাঞ্চলে সাতটি জেলা রয়েছে। সেখানকার মানুষের জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নির্ভরশীল তাদের উৎপাদিত ধানের ওপর। সরকার ১০৪০ টাকা দামে ধানের মন নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু কিছু দিন ধরেই সেখানকার কৃষকেরা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৩০০ টাকা কমে ধান বিক্রি করছেন। এতে কৃষক যেমন ঠকছেন, তেমনি তারা আরও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কারণ এখানকার অধিকাংশ মানুষই গরিব। তাদের ফসল উৎপাদন করতে যে কোনও সংস্থা থেকে ঋণ নিতে হয়। এ অবস্থায় সরকার নির্ধারিত মূল্য না পেলে কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। তাদের সুপারিশের মধ্যে আছে- সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকেরা কিভাবে ধান বিক্রি করতে পারবে তার উপায় বের করা। ভাটির উচু-নিচু ক্ষেতগুলোকে সমতল করা, আগামী দু্ই মাসের জন্য প্রতিটি গ্রামে অস্থায়ী গোডাউন নির্মাণ করা, কৃষি কার্ডের ভিত্তিতে কৃষককে সমস্ত সুবিধা দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির যুগ্ম-আহ্বায়ক মেনন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন, ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ সমিতির যুগ্ম-আহ্বায়ক আজিজুল হক, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এইচএ/