মঙ্গলবার (১৫ মে) সকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, রমজানে অসাধু ব্যবসায়ী এবং বিক্রেতারা যাতে ভেজাল খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিক্রি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, রমজানে রোজাদাররা মুড়ি, কলা, খেজুর, সফট ড্রিংক পাউডার, কার্বোনেটেড বেভারেজ, ফ্রুট সিরাপ, ফ্রুট জুস, ফ্রুট ড্রিংকস, ভোজ্যতেল, সরিষার তেল, ঘি, দুধ, নুডুলস, লাচ্ছা সেমাই, পানি ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকেন। এ জাতীয় খাবারের ওপর বিশেষ অভিযান ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই উপজেলায় মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বিএসটিআইয়ের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, র্যাব, ডিএমপি ও এপিবিএন অভিযানে থাকবেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, রজমানে ইফতারে যাতে নিরাপদ পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ১৯টি মোবাইল টিম পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে মোট ৭৪টি মামলা দায়ের এবং ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে এবং ৫৭ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড এবং ২৬ হাজার ৫০০ টি নিন্মমানের পানির জার ধ্বংস করা হয়েছে। রমজানে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণে বিএসইটিআইয়ের গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দাবিরুল ইসলাম, বিএসটিআই মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এমআইএস/আরআইএস