বৃহস্পতিবার (১৭ মে) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ লংটার্ম ফাইন্যান্স কনফারেন্স-২০১৮ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে দেশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের উৎসাহ দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বিশ্বব্যাংক আয়োজিত সেমিনানের বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের কান্টি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান ভূঁইয়া।
আর অনুষ্ঠানে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ফিন্যান্সিয়াল অফিসার লিডু পুসিনি নিউন এবং রিভাস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেডের সিইও আশরাফ আহমেদ।
দেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার খুবই ছোট। জিডিপিতে এর অবদান কম। দেশের বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে পুঁজিবাজার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তার জন্য পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়শীল দেশের তালিকায় প্রবেশ করার জন্য আমাদের এখন থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। সেজন্য দেশে দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ীবিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আমাদের রফতানি পণ্যের তালিকা আরও বাড়াতে হবে। এক-দু’টি খাতের ওপর নির্ভর না করে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন দেশি বিদেশি বিনিয়োগ। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি বন্ড মার্কেটের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। এখান থেকে আগামীতে মধ্যম আয়ের দেশে যেতে হলে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন। বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছি। এটা অনেক ভালো দিক।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ