শনিবার (১৯ মে) রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সর্বত্র বড় সাইজের সাদা আঙ্গুর। চলছেও বেশ।
এই বড় সাইজের আঙ্গুর কি আসলেই আঙ্গুর। এ প্রশ্নটা হয়তো মনে জাগবে, কিন্তু ফলের চেহারা সহজেই বিভ্রান্ত করে দেয় ক্রেতাকে। ফলে দাম দিয়ে আঙ্গুরের বদলে সবাই উদরপূর্তি করছেন ‘মনাক্কা’ দিয়ে। বড় সাইজের এই আঙ্গুর আসলে আঙ্গুর নয়। এটি আঙ্গুরের গোত্রের ফল মাত্র। এখন আঙ্গুরের মৌসুম নয়। তবে চাহিদা থাকায় এই মনাক্কাই চালিয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা আঙ্গুরের দামে। অনেকেই এটাকে মুনাক্কাও বলেন। ভারত থেকে আমদানিকৃত ফল আঙ্গুরের মতো দেখতে। যার দাম আঙ্গুরের অর্ধেক। হতে পারে ক্রেতা দাম শুনেই আর পাশ কাটাতে পারেন না। খুচরা বাজারে এটির এখন বেশ কদর। ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওয়াইজঘাটের পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, এটি খাওয়ার জন্য ক্ষতিকর না। আর আঙ্গুরের চাহিদা থাকায় এটি বিক্রি করেন তারা।
বিক্রেতারা বলছেন, ফলের বাজার এবার গতবারের চেয়ে দাম বাড়েনি। কেননা, দেশি ফলের মৌসুম হয়েছে। এছাড়া আমদানিও বাড়তি। যে কারণে আপেলের বাজার অনেক কম। খুচরা বিক্রেতারা কিনতেই চাচ্ছেন না। আপেলের মধ্যে সবচেয়ে চলছে দক্ষিণ আফ্রিকার গালা আপেল। তবে খুচরা বিক্রেতারা নিচ্ছেন চাইনিজ আপেল। কাজেই ক্রেতার হাতে আফ্রিকান আপেলের পরিবর্তে পড়ছে চাইনিজটা। মালটার বাজারও দখল করে নিয়েছে চীন।
অন্যদিকে খেজুর রয়েছে আগের মতোই মিশর, দুবাই, সৌদি আরব আর আলজেরিয়ার দখলে। নাটফল চলছে দক্ষিণ আফ্রিকার আর মিশরের নাশপাতি।
এদিকে বাজারের চলে এসেছে দেশি লিচু। আর আগে থেকেই আছে তরমুজ।
মেসার্স সুবল এন্টারপ্রাইজের মালিক মেহেদী হাসান সুবল বাংলানিউজকে বলেন, দেশি ফলের কারণে এবার ফলের দাম হাতের নাগালেই রয়েছে। অন্যথায় আরও বাড়তো। বাজারে খেজুর পাওয়া যাচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে। তরমুজ আছে ৪০ টাকা পিস থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
আপেল কেজিতে ৯০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় নাশপাতি আর নাটফল পাওয়া যাচ্ছে ২শ’ থেকে ২৮০ টাকায়।
আনার বা ডালিম পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকায়। আর লিচু পাওয়া যাচ্ছে প্রতি ১শ’ পিস ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়।
মধ্যস্বত্বভোগী বিক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, রজমানে দেশি ফলের আমাদানি থাকলে বিদেশি ফলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবারও তাই আছে। আম এলে আরও দাম কমবে। যদিও কিছু কিছু আম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চাইনিজ ফলের ব্যবসা আছে। আর আঙ্গুর তো নেই। এখন মনাক্কা খাচ্ছে পাবলিক।
খায়রুল আড়তদারের কাছ থেকে ফল নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। তার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জানান, ভালো ফল মানুষ চেনে না। সবাই খেতেও চায় না। একটু দামি হয় তো, তাই চায়না ফলই বেশি চলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/