ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির বাজারে আগুন, ভোগান্তিতে স্বল্প আয়ের মানুষ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৪ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
সবজির বাজারে আগুন, ভোগান্তিতে স্বল্প আয়ের মানুষ  রমজানে দাম বেড়েছে সবজির-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: রোজা শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই আগুন লেগেছে রাজধানীর সবজির বাজারে। রোজা শুরুর পর থেকেও প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির দাম। মাছ-মাংসের বেশি দামের কারণে যারা অন্তত সবজি দিয়ে দিন পার করতেন ভোগান্তিতে পড়েছেন সেসব স্বল্প আয়ের মানুষও।  

রোববার (২০ মে) সকালে রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।

সবজি বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, কাঁচা শাকসবজির দাম সব সময়ই ওঠানামা করে।

কিন্তু রোজা শুরুর সপ্তাহখানেক আগে সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। প্রতিদিনই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি। আমরাও তো খুচরা বিক্রেতা। যেমন দামে কিনি তেমন বিক্রি করতে হয়।  

সবজির মধ্যে ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা ও ঢেড়স ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য এ বছর রমজানে কাঁচামরিচের দাম মোটেই বাড়েনি বলে জানালেন বিক্রেতারা।  এবার কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যা গতবছর রমজানে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে।  

মাছের বাজার-ছবি-জি এম মুজিবুরমাছের দামও রমজানের শুরুতেই বেড়ে গেছে বলে জানান মাছ বিক্রেতারা। রামপুরা বাজারে ৫শ’ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশের দাম ১৬০০ টাকা, আর ৩৫০ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশ চাওয়া হচ্ছে এক হাজার টাকা। এই ইলিশ এক সপ্তাহ আগেও হালি প্রতি ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা কমে পাওয়া গেছে।  

বড় সাইজের তাজা দেশি রুই কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা, একটু ছোট ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকায়। চিংড়ি মাছ বড় ৫শ’ টাকা, বাগদা ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের কই মাছের দামও কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়েছে রমজানে। আগে ১৮০ টাকার কই এখন ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০, আর নদীর পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।   

গরুর মাংস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কেজি প্রতি ৪৫০ টাকা দর বেধে দিলেও চাওয়া হচ্ছে ৪৮০ টাকা। যারা দরদাম করে কিনছেন তারা সর্বনিন্ম ৪৭০ টাকায় নিতে পারছেন।

সবজি ক্রেতা শারমিন জাহান বাংলানিউজকে বলেন, রোজা এলেই নিত্যপণ্যের দামে আগুন লাগে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু আমাদের করণীয় কি আছে, খেতে তো হবেই। তাই দাম যাই চাচ্ছে কিনতেই হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এমএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।