গত কয়েকদিন ধরে ছোলা কেজি প্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও সোমবার (২১ মে) থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় টিসিবি। বিক্রিও হচ্ছে পরিবর্তিত দামে।
টিসিবি বলছে, তাদের প্রতিটি পণ্যই বিএসটিআই ও সাইন্স ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষিত। সেখান থেকে সার্টিফিকেট দিলেই পণ্য বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। তাই ভেজাল পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। অন্যদিকে ক্রেতার অভিযোগ খেজুরের মধ্যে অনেক খেজুর পচা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ট্রাকযোগে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবির ডিলার হক ভ্যারাইটি স্টোর। মালিক নিজেই উপস্থিত থেকে তদারকি করছেন বিক্রির কার্যক্রম। এখানে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৫০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা, সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা লিটার, খেজুর ১০০ টাকা কেজি দরে।
প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এক কেজি খেজুর, এক কেজি ডাল ও এক কেজি ছোলা কিনেছেন সরকারি কর্মচারী শরিফুল হাসান। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক আছে, ওজনও সঠিক কিন্তু খেজুর নিয়ে প্রশ্ন আছে। তার মতে, খেজুরের মধ্যে অনেক খেজুর নষ্ট। যেগুলো খাবার উপযোগী না।
ডিলার ফজলুল হক বলেন, খেজুরগুলো নষ্ট বা পচা না। এগুলো বেশি পাকার কারণে রংটা কালো দেখাচ্ছে। এসব খেজুরে কোনো পচা গন্ধ নেই। মান রক্ষা করেই প্রতিটি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শান্তিনগর কাঁচাবাজারের সামনে থেকে খেজুর ও চিনি কিনেছেন সিকউরিটি গার্ড আলী। তিনি বলেন, কম দামে পণ্য কিনতে পেরে ভালো লাগছে। তবে খেজুরটা আরো একটু ভালো হওয়া উচিত। তার মতে, টিসিবির বিক্রিত খেজুরগুলোর এক তৃতীয়াংশই পচা।
এ বিষয়ে টিসিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বাংলানউজকে বলেন, আমরা যখন কোনো পণ্য আমদানি করি তখন সেটা বিএসটিআই ও সাইন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। টিসিবির প্রতিটি পণ্যই শতভাগ মানসম্পন্ন। এখানে ভেজালের কোনো সুযোগ নেই। যারা অভিযোগ করছেন তারা ভালো করে দেখছেন না।
তিনি বলেন, আমরা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। একই পণ্য সুপারশপে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা কেজি দরে। সেখানেও একই পণ্য। কয়েকদিন আগেই খেজুর আমদানি করার কারণে কিছুটা রঙের পরিবর্তন হতে পারে, তবে নষ্ট না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২, মে ২১, ২০১৮
টিআর/এমজেএফ