মঙ্গলবার (২২ মে) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এটিসহ মোট ১৬ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেল সংযোগের মোট ব্যয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে জি টু জি পদ্ধিতে চীন সরকার দেবে ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। এ বিষয়ে এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিও সই হয়েছে।
পদ্মাসেতুর রেলসংযোগের মূল কাজ এখনও শুরু হয়নি। শুধু ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজ চলছে। ফলে এর সময় ও ব্যয় বেড়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ১৬৯ কিলোমিটার নতুন রেলপথ যশোর পর্যন্ত যাবে। এই প্রকল্প নির্মাণে ৪ হাজার ২৬৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। বাস্তবায়নে আরও দুই বছর সময় বেড়েছে প্রকল্পটির।
সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে ২০১৬ সালের ৩ মে পদ্মাসেতু হয়ে নতুন রেলসংযোগ স্থাপনের জন্য ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার।
‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। এখন তা ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ’
নানা কারণে প্রকল্প সংশোধন ও সময় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় মোট ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাজেটের আগে শেষ সভায় প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৪৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দেবে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এমআইএস/এমএ