ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন রোজা শুরুর আগে। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এখন পর্যন্ত কোনো দাম নির্ধারণ করেনি।
আদাবর বাজারের ভারতীয় বোল্ডার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজিতে। অথচ ডিএসসিসি এই মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৪২০ টাকা। আর দেশি গরুর মাংস ৪৫০ টাকা, খাসি ৭৫০, ছাগি ৪২০ ও মহিষ ৪২০ টাকা।
সিটি করপোরেশন নির্ধারিত দামের বেশি দামে মাংস বিক্রি করছেন কেন জানতে চাইলে আদাবর বাজারের মাংস বিক্রেতা ফজলু বাংলানিউজ বলেন, শুনেছি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। উত্তরে তো দেয়নি। আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনাও নেই। বেশি দামে গরু কেনা, তাই নির্ধারিত দামে বিক্রি সম্ভব না।
কৃষি মার্কেটের খলিলের মাংসের দোকানে দেশি গরু বলে যে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে তার দাম ধরা হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। অতিরিক্ত দামে কেন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে মাংস বিক্রেতা খলিল বলেন, আমাদের কোনো দাম ফিক্সড করেনি। আর ফিক্সড করলেই কি ওনারা গরু কিনে দেবেন? বেশি দামে গরু কিনলে বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে হয়।
আদাবর বাজারে মাংস কিনতে আসা হায়দার আলী বাংলানিউজকে বলেন, দাম নির্ধারণ করে দিলে তাও জবাবদিহিতা থাকে। এখানে যে যার মতো করে বিক্রি করছে, দেখার কেউ নেই। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি উত্তরেও দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে। তা নাহলে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের গরুর মাংস খাওয়া দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, দক্ষিণ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। আজ ৫ রমজান। অথচ উত্তর সিটি করপোরেশনে এখনও খবর নেই। বুধবার (২৩ মে) সকাল ১০টায় ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মিটিং ডাকা হয়েছে। এখন কি করবে জানি না। আর দাম নির্ধারণ করবে কি, উত্তরের কয়েকজন কর্মকর্তাই দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী।
তার অভিযোগ, গাবতলী হাটে সিটি করপোরেশনের গরুপ্রতি ১০০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। এই টাকা গাবতলী হাট ইজারাদার আর ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। ওনারা দাম নির্ধারণ করবেন কীভাবে?
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এসএম/এএ