শুধু মোতালেব হোসেন নয়, সাদ আহম্মেদ, শিখা কবিরাজ, সাঈদ আলী, তাজউদ্দিনেরও অবস্থা একই। মিলে ঠিকমতো উৎপাদন নেই।
মোতালেব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বুদ্ধি হয়ে এ পর্যন্ত মিলেই কাজ করছি। অন্য কাজ ঠিকমতো পারি না। এই মিলে আগে প্রচুর কাজ ছিলো আর এখন অলস বসে থাকা। সারাদিনে এক ট্রাক লোড করা হয়কি তার ঠিক নেই। সাদ আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, যখন প্রথম কাজ করি তখন এই মিলের যৌবন ছিলো। এখন তো কিছুই নেই। ১০০ কেজির চিনির বস্তা বয়লে তখন মাত্র ৬০ পয়সা পেতাম। তাতেই অনেক হয়ে যেতো। আর এখন সেই মিলেই বসে সময় কাটায় দিনের পর দিন। বস্তার ওজন কমেছে। এখন ৫০ কেজির ওজনের বস্তা। সেটা ট্রাকে তুলে দিলে ১২ টাকা। তাও সংসার চলছে না। কারণ চিনিই নেই।
সাঈদ আলী বাংলানিউজকে জানান, আগে দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত হাজিরা করেছি। আর এখন ১০০-১২০ টাকা হাজিরা করতেই দিন পার হয়ে যায়। ১২০ টাকায় বাজারে কী হয় এখন?
কুষ্টিয়া চিনিকলের গুদাম রক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, কাঁচামালের অভাবে চিনির উৎপাদন কম। আর মিলের চিনির দাম সাদা চিনির তুলনায় একটু বেশি। কারণ এটার মান অনেকগুনে ভালো। তাই ক্রেতা কম।
তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়া চিনিকলে দুইটি গুদামে চিনি ধারণ ক্ষমতা ১৩ হাজার মেট্রিক টন। তবে বর্তমানে রয়েছে ১ হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চিনি। চিনির উৎপাদন কম তাই লেবারদের কাজও কম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এনটি