একই সময়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। আর অভিযোগকারীকে জরিমানা থেকে ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৮২৭ টাকা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র বলছে, ভোক্তা অধিদফতর প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ৫শ টাকা। এসময়ে অভিযোগকারীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ১২টি। এর মধ্যে ৭ হাজার ২৫টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিচারাধীন রয়েছে আরও ৯৮৭টি অভিযোগ।
অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, অধিদফতরের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়, অর্থাৎ ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান ও ৭টি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২০১০-১১ অর্ধবছরে জরিমানা আদায় করা হয় ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ৩শ টাকা। প্রথম দু’বছর কোনো অভিযোগকারী না থাকায় পুরো অর্থই সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
২০১১-২০১২ অর্থবছরে ৩৭১টি বাজার ও ১৫১২টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। এসময় জরিমানা আদায় করা হয় ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার ৩শ টাকা। ৮ জন অভিযোগকারীকে দেওয়া হয় ৫২ হাজার ৫শ টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে জরিমানা করা হয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫শ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ কোটি ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জরিমানা আদায় করা হয় ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯ হাজার টাকা। আর ২০১৭২০১৮ অর্থবছরের ২১ মে পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৬০০ হাজার ৫শ টাকা।
কোনো ব্যক্তি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাই করে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। ওই জরিমানার এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ, ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীকে দেওয়া হয়।
গত নয় বছরে সব বাদে সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে ৩১ কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৩ টাকা। ৩ হাজার ৫৫৫ জন অভিযোগকারীকে দেওয়া হয়েছে ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৮২৭ টাকা।
ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. সফিকুল ইসলাম লস্কর বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে যে কেউ অভিযোগ করতে পারেন। এজন্য তাদের কোনো উকিল বা অন্য কোনো ব্যক্তির সুপারিশ নেওয়া লাগে না। চাইলে মোবাইল ফোন, ইমেইল অথবা ফ্যাক্সেও অভিযোগ দিতে পারেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো প্রতিষ্ঠানের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযোগকারীর অভিযোগ সত্য হলে আমরা তাকে জরিমানার ২৫ শতাংশ দিয়ে দেই।
অধিদফতরের কার্যকর শাখা বলছে, গত নয় বছরে ভোক্তাদের সচেতন করতে ৩ লাখ ১৪ হাজার পোস্টার, ১০ লাখ ৯৪ হাজার প্যাম্পফ্লেট, ১০ লাখ ১২ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এসময়ের মধ্যে গণশুনানি করা হয়েছে ৮৮৭টি আর মতবিনিময় করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৯টি। তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে প্রধান কার্যালয় এবং মাসে একটি করে জেলা শহরগুলোতে মতবিনিময় সভা চলমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫, মে ২৪, ২০১৮
ইএআর/এএ