শনিবার (২৬ মে) রাজধানীর মহাখালী, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এতথ্য পাওয়া গেছে।
এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও আমাদের আগের কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে এক প্রকার ক্ষোভ রয়েছে। তারা জানান, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও ব্যবসায়ীরা বেশি রাখছেন। তাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার তদারকি করা হলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বেশি রাখতে পারতেন না। এসব বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা উচিত বলে মনে করছেন অনেকে।
মহাখালী কাঁচাবাজারের ক্রেতা নারগিস খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, এ বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি রাখেন। এখানে যে দামে বিক্রি করা হয়, অন্য বাজারে এর চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়।
মহাখালী বাজারের আজাদ ট্রেডার্সের মালিক সোলাইমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে পেঁয়াজ আগে কেনা ছিল। তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করছি। তিনি স্বীকার করলেও কারওয়ান বাজারে ৩৪ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। তবে তার পেঁয়াজ এর আগে পাইকারি বাজার থেকে ৪১ টাকা কেজি দরে কেনা ছিল, তাই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজারেও ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১১০ টাকা।
শান্তিনগর বাজারের ক্রেতা সোহান বাংলানিউজকে বলেন, যখন কোনও পণ্যের দাম বাড়ে, তখন সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। কিন্তু কোনও পণ্যের দাম কমলে, ব্যবসায়ীরা আর কমাতে চান না। সোহানের মতে, সরকারের উচিত এসব ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
ইএআর/আরবি/