ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাট দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্ব জয় করতে প্রস্তুত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
পাট দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্ব জয় করতে প্রস্তুত বক্তব্য রাখছেন সাবের হোসেন চৌধুরী

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল পাট দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্ব জয় করতে প্রস্তুত। জাপানে পাটের বাজার সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে পাটের পরিবেশবান্ধব ব্যবহার ও পাটের অপার সম্ভাবনা সংক্রান্ত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মঙ্গলবার (২৯ মে) টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।   

পরিবেশবান্ধব পাট ও জাপানে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের সম্ভাবনা নিয়ে গোলটেবিলের আয়োজন করে বাংলাদেশের টোকিও দূতাবাস।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিজনেস টু বিজনেস নেটওয়ার্কিং সেশনের আওতায় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।

আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপানি ব্যবসায়ী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।  

আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। অনুষ্ঠানে যোগদান করায় তিনি অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল ও বিশাল বাজার বিদ্যমান, এছাড়া জাপানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে নিয়ে যে জরিপ করেছে তাতেও বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করেছে। দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান উল্লেখ করে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পাটশিল্প খাতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বেশি করে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।  

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক পরিবর্তিত, অনেক উন্নত, নতুন এক বাংলাদেশ; যা বিশ্বের দ্রুত অগ্রসরমান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিক শুধু সহজলব্ধই না কর্মঠ-উন্নয়নশীলও।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নির্দেশনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের মৃতপ্রায় পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি জাপানে পাটের নানাবিধ ব্যবহারের সুযোগের কথা উল্লেখ করে পরিবেশবান্ধব পাটশিল্পে জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে পাটের অতীত ছিলো ঐতিহ্যবাহী। কিন্তু তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পাটের ভবিষ্যৎ হবে উজ্জ্বল সোনালী।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য। বাংলাদেশের পাট শিল্প নিয়ে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের পক্ষে উপস্থাপনা করেন উপসচিব সাদিয়া শারমিন এবং জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনর (জেট্রো) তাকাশি সুজুকি। আইডিই জেট্রোর পিএইচডি গবেষক কেন্মেই সুবোতা পাট সংক্রান্ত তার গবেষণালব্ধ ফলাফল ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী পাট কোম্পানি মারসান সাঙ্গিও’র প্রেসিডেন্ট কিয়োনরি নাকাজিমা বাংলাদেশের পাট ও ব্যবসার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের শ্রমিকরা অত্যন্ত কর্মঠ এবং সৎ। অনুষ্ঠানে ছোট পরিসরে বিভিন্ন রকমের ও বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্যের একটি প্রদর্শনীও করা হয়।

বুধবার (৩০ মে) থেকে টোকিওর বিগ সাইটে শুরু হবে ইন্টেরিয়র লাইফ-স্টাইল মেলা। যেখানে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পাট শিল্প উদ্যোক্তারা তাদের উন্নত ও আধুনিক দ্রব্য প্রদর্শন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
টিআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।