বুধবার (৩০ মে) রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) গুলনকশা হলে আইপিওতে আবেদনকারী সাধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কোটা অনুযায়ী শেয়ার বরাদ্দের জন্য এ লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট এক কোটি চার লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, কোম্পানির সচিব এম নাসিমুল হাই এফসিএ, সিএফও মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিনিধি বদরুল ইসলাম শাওনসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ এপ্রিল (সোমবার) থেকে ৯ মে (বুধবার) পর্যন্ত বসুন্ধরা পেপার মিলসের আইপিও’র জন্য আবেদন করেন বিনিয়োগকারীরা। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের একটি শেয়ারের লট পেতে ৯ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭টি শেয়ারের বিনিময়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সংগ্রহ করতে কোম্পানিটিকে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি অনুমোদন দেয় কমিশন।
এর আগে গত বছরের (২০১৭) ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত টানা তিনদিন (৭২ ঘণ্টা) ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারের নির্ধারিত কাট অব প্রাইস ৮০ টাকা হয়। এ দামে এলিজিবল বিনিয়োগকারীদের (ইআই) কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় ১২৫ কোটি টাকা। এতে ৪৭৪ জন বিনিয়োগকারীকে মোট ১ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজারটি শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়।
আর ৭২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে বসুন্ধরা পেপার। এক কোটি চার লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ারের বিনিময়ে এ টাকা উত্তোলন করছে যার লটারি বুধবার অনুষ্ঠিত হলো।
এ টাকা কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি কেনা, স্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন বাবদ ১৩৫ কোটি, ঋণ পরিশোধ বাবদ ৬০ কোটি এবং বাকি ৫ কোটি টাকা আইপিও বাবদ খরচ করবে কোম্পানিটি।
২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ দশমিক ৪৬ টাকা এবং সম্পদ মূল্যায়নসহ শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৩০ দশমিক ৪৯ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৮
এমএফআই/এনএইচটি