ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজারের জন্য কিছু নেই বাজেটে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
পুঁজিবাজারের জন্য কিছু নেই বাজেটে

ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারকে ‘উপেক্ষিত’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

বাংলানিউজকে দেওয়া বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেটে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী কিংবা ভোটারদের জন্য কোনোকিছুই রাখা হয়নি। এমনকী পুঁজিবাজার সম্পর্কে দু’একটি ভালো কথা, কিংবা গঠনমূলক কথাও রাখা হয়নি।



‘নির্বাচনী বাজেট হিসেবে সরকারের কাছে বিনিয়োগকারীদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেই প্রত্যাশার ছিঁটে-ফোঁটাও পূরণ হয়নি। এবারের বাজেট বিনিয়োগকারীদের সম্পূর্ণভাবে হতাশ করেছে। আর এই হতাশার কারণে বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার দিন সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও বাজেট ঘোষণার পর ৩০ পয়েন্ট কমেছে। এটাই প্রমাণ করে বিনিয়োগকারীরা চরমভাবে হতাশ। ’

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলনে, বাজেটের এ প্রস্তাবনায় হয়তো ব্যাংক ও আর্থিক খাত চাঙা হবে। কিন্তু পুঁজিবাজার সরাসরি উপকৃত হবে না। তবে পরোক্ষভাবে পুঁজিবাজারে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তার কারণ ব্যাংকের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী পোশাক খাতে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান নতুন কোম্পানিকে বাজারে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে। পুঁজিবাজারে আসতে কোম্পানিগুলো আগ্রহী হবে।

তিনি বলেন, বাজটের আগেই অর্থমন্ত্রী সবাইকে নিয়ে একটি গতিশীল বাজার গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি পরবর্তীতে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, একসঙ্গে আলোচনা করে বাজার উন্নয়নে গুরুত্বর্পূণ সিদ্ধান্ত আসবে, সর্বোপরি বাজেটে কর কমানোর প্রস্তাবও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।  

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রীর আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর ৪০ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেন।

পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে বিশেষ প্রণোদনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ খাতে বিশেষ কর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিতে নিয়োজিত করদাতার করহার ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। তবে পুঁজিবাজারে লিস্টেড হলে করহার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। তবে এই বাজেটে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের কোনো দাবি মানা হয়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এমএফআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।