একদিকে আমদানিকৃত চাল বন্দর থেকে খালাস করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা, অন্যদিকে ধানও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। ফলে সামনে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।
এ বছর স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। যেখানে চাল আমদানি শুল্ক ধরা হয়েছে ২৮ শতাংশ। তাই শুল্ক বৃদ্ধির এমন ঘোষণায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। কারণ বেশি লাভের আশায় বহু ব্যবসায়ী আগের শুল্কে চাল আমদানী করেছেন। কিন্তু বর্তমান ধার্যকৃত রেটে বন্দর থেকে চাল খালাস করতে গেলে তাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে। আবার গত দুদিনে ধানের দামও বেড়েছে প্রতিমনে ১ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিকেজি জিরাশাইল আগে ছিল ৫১-৫২ টাকা বর্তমানে ৫৬-৫৭ টাকা, স্বর্ণা-৫ ছিল ৩৬ -৩৮ টাকা বর্তমানে ৪২-৪৪ টাকা, নাজিরশাইল ছিল ৫৪-৫৫ টাকা বর্তমানে ৫৮-৬০ টাকা, আতপ ছিল ৭৫-৭৮ টাকা বর্তমানে ৮০-৮২ টাকা,
মিনিকেট ছিল ৪৩-৪৫ টাকা বর্তমানে ৪৮-৫০ টাকা, মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি চালের দাম ৪-৫ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
নওগাঁ চাল বাজারের মাঝারি চাল ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করেই তিনদিন হচ্ছে চালের দাম কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। ফলে চালের মোকাম থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামেই চাল বিক্রয় করতে হচ্ছে বাজারে।
এ বিষয়ে নওগাঁর ফারিহা রাইচ মিল মালিক শেখ ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বাজেটে চাল আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির জন্য দেশের বাহিরে থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। যা দিয়ে তারা দেশের বাজারে পোষাতে পারছেনা। তাই সামনে চালের দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
এনটি