কেউ কেউ বলছেন, বৃষ্টির কারণে মার্কেটে ভিড় কম হবে। এটা জেনেই কষ্ট করে চলে এসেছি।
সোমবার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া কার্যালয়। বৃষ্টির তীব্রতা থাকবে আরও দু’দিন এমনটাই জানিয়েছে ওই কার্যালয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে ঈদের কেনাকাটা। ঝুম বৃষ্টিতে নগরীর রয়্যালের মোড়, শান্তিধাম মোড়, শামসুর রহমান রোড, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, বাইতি পাড়াসহ অধিকাংশ সড়কে পানি জমে যাওয়ায় ইচ্ছা করলেও সহজে যাতায়াত করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।
রমজান মাস এখন শেষের দিকে। চলছে ধুম কেনাকাটা। বৃষ্টির কারণে অনেকটাই বেকার সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। বৃষ্টিতে কেনাবেচা একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফুটপাতের বিক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টি আর কাঁদায় সয়লাব হয়ে গেছে মহানগরীর অধিকাংশ সড়ক ও মার্কেট। যে কারণে ক্রেতাদের ভোগান্তিও বেড়ে গেছে অনেক। অনেকেই ঈদ বাজারে ঢুকে আটকা পড়েছেন। যেতে পারছেন না এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে। যানবাহন সঙ্কটে অনেকেই আবার আসতে পারছেন না বাজারে। পছন্দ করতে পারছেন না নিজের পছন্দ মাফিক কাপড়-চোপড়। বৃষ্টি আর কাদার কারণে বিক্রেতারাও পড়েছেন বেকায়দায়। ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতারাও অলস সময় কাটাচ্ছেন অনেকটা সময়। তবে অর্ধবেলা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রেখেছেন ফুটপাতের দোকানিরা। মহানগরীর জলিল সুপার মার্কেটের আদ্রিত বস্ত্রালয়ের মালিক অমলেশ মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসার অবস্থা করুন। অনেক খারাপ যাচ্ছে। টানা তিনদিন মার্কেটে বিদ্যুৎ ছিলো না। তারপর আবার শুরু বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া। যে কারণে তেমন বিক্রি নেই।
পালকি শাড়ি দোকানের মালিক অহিদ উল্লাহ হাওলাদার বলেন, বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করেই শহরের বিপণি বিতানগুলোতে বিক্রি কমে গেছে। বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
কবির নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদ করতে গ্রামে যাবো। কয়েকটা দিনই হাতে আছে, বাড়ির সবার জন্য তো কেনাকাটা করতে হবে। পরে সময় হবে না, তাই বৃষ্টিতে ও জলাবদ্ধার পানি মাড়িয়েই আসতে হলো।
খুলনা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ও নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। থেমে থেমে আরও বৃষ্টি হবে। যা দুই-তিন দিন থাকতে পারে।
এদিকে বৃষ্টিপাতে খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে পানি জমেছে। পুরো মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে এবারও এখানে ঈদের প্রধান জামাত হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জুন ১১ , ২০১৮
এমআরএম/এএটি