সোমবার (১১ জুন) জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ এর ওপর এক প্রতিক্রিয়ায় এ প্রস্তাব জানানো হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের রানার গ্রুপ ভবনের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. ওমর সাফায়াত কাউছার ও হুমায়ুন রশিদ, পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, এম এস সিদ্দিকী, সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আলী দ্বীন প্রমুখ।
লিখিত বক্তৃতায় আইবিএফবি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ক্রমাগতভাবে বাজেটের আকার বাড়ছে। তবে দেশের অর্থনীতি ও জনগণের তুলনায় বাজেটের আকার আরো বাড়ানো সম্ভব। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতসহ উন্নত দেশে ৯০ থেকে শতভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু আমাদের দেশের বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা আশাব্যঞ্জক নয়। তাই বাজেট বাস্তবায়ন জরুরি।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজেটের মোট ৬১ শতাংশ অর্থই চলে যাবে বেতন, ঋণের সুদ আর ভর্তুকিতে। আর বিনিয়োগের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৮ শতাংশ।
বাজেট পর্যালোচনায় বলা হয়, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের তুলনায় রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের হার তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলাগুলোর উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে নতুন করে জেলা বাজেট প্রণয়ন করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বাজেটে মধ্যবিত্তদের ওপর করের বোঝা বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে হাফিজুর রহমান বলেন, প্রত্যক্ষ করের তুলনায় পরোক্ষ করের হার বেশি আদায়ের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ধনী শ্রেণীর মানুষের চেয়ে মধ্যবিত্তের ওপর কর হার বাড়ানো হয়েছে। অথচ ভারতসহ অন্যান্য দেশে প্রত্যক্ষ করের হার পরোক্ষ করের তুলনায় বেশি। তিনি বলেন, পরোক্ষ কর বৃদ্ধিতে দেশের দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়াও ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকা করা, করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি, তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট কর আগের অর্থ বছরের মতোই রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। আর সরকারে এই বাজেট যাতে বাস্তবায়নযোগ্য হয়ে ওঠে সে ব্যাপারে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরীক্ষা ও পর্যালোচনার নিয়মিত ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস