কোয়ালিটি লার্নিং প্রি-প্রাইমারি লেভেল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৮ মিলিয়নেরও বেশি শিশু এ প্রোগ্রামের আওতায় উপকৃত হবে। এটি সরকারের চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রোগ্রাম (পিএডিপি-৪) বাস্তবায়ন করবে।
শুক্রবার (১৫ জুন) বিশ্বব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত ও ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকারকে উন্নত করতে সাহায্য করবে। এটি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য গণিত এবং গণিতের জন্য শেখার ফলাফলগুলো মূল্যায়ন ও উন্নত করতে সাহায্য করবে। এজন্য প্রোগ্রামটি শক্তিশালী পাঠ্যক্রম এবং পরীক্ষা পদ্ধতির পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তক এবং ডিজিটাল উপকরণসহ সম্পূরক শিক্ষা উপকরণ বিকাশ হবে। এ প্রোগ্রামটি সমস্ত সরকারি স্কুলে এক বছর মানের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণে সাহায্য করবে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে শিক্ষার হার খুব কম ছিল। সেখান থেকে শিক্ষার প্রবেশাধিকার উন্নত করতে দেশটি অসাধারণ অগ্রগতি করেছে। আজ প্রায় প্রতিটি শিশু শ্রেণীকক্ষের দিকে এগিয়ে যায় এবং ১০টির মধ্যে ৮টি শিশু প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের সর্বত্র ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ অর্জনে সহায়তা করার জন্য সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি সমর্থন করে বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পটি স্কুল পাঠ্যবইয়ের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রবিন্দুতে পাঠাবে। যারা জাতীয় পাঠ্যক্রমের অনুসরণ করবে এবং একইভাবে তাদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে একত্রিত করতে সাহায্য করবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ৯৫ হাজার শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষকের কক্ষ এবং বহুমুখী কক্ষ নির্মাণ করবে যা আন্তর্জাতিক মানের ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণীকক্ষের অনুপাত নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে ৮০ হাজার জল ও স্যানিটেশন ব্লক এবং ১৫ হাজার নিরাপদ পানি উৎসব নির্মাণ করা হবে। যাতে মেয়ে শিক্ষার্থী ও নারী শিক্ষকদের জন্য বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এমআইএস/আরবি/