বসুন্ধরা সিটির সামনের পুরো এলাকাজুড়ে শুধু মানুষ আর মানুষ। কেউ ভেতরে প্রবেশ করছেন।
বসুন্ধরা সিটির অবস্থান রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাশে পান্থপথে। প্রায় তিন হাজার দোকানের এই সিটিতে শপিং সেন্টার ছাড়াও রয়েছে সিনেমা হল, খাবারের দোকান, শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র ও শরীর চর্চা কেন্দ্র।
বসুন্ধরা সিটিতে সারা বছর উল্লেখ করার মতো ক্রেতা-দর্শনার্থী এলেও ঈদ ও অন্যান্য উৎসবের সময় ক্রেতার পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।
কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রীপা পারভীন। শুক্রবার (১৫ জুন) কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারও আমার অফিস ছিল। স্বামী-সন্তানের জন্য আগে কিছুই কিনতে পারিনি। আজ ইফতারের পরে এসেছিলাম। ভিড় অনেক বেশি। তারপরও কিনতে পেরেছি এটাই বড় কথা।
ফ্যাশন হাউজ লা রিভের বিক্রয়কর্মী আসাদুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ খরিদ্দারের পরিমাণ বেড়েছে। ঈগের আগের দিন শুক্রবার হওয়ায় মানুষের আগমন ঘটছে দুপুরের পর থেকেই। বেচাকেনাও ভালো।
বসুন্ধরা সিটি ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলো দেশি-বিদেশি নানা ধরনের পোশাকের পাশাপাশি জুতা, ঘড়ি ও গহনার পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। আর এসব থেকে নিজের বা পরিবারের পছন্দের জিনিসটি কিনতে বসুন্ধরা সিটিতে সমবেত হয়েছে হাজার হাজার ক্রেতা।
ফ্যাশন হাউজ এক্সটাসির বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি খরিদ্দারকে নতুন কিছু দিতে। আর সব ধরনের পোশাক, কসমেটিক ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র বসুন্ধরা সিটিতেই পাওয়া যায়।
বসুন্ধরা সিটিতে ঈদের আগের দিন উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে দেশীয় ফুটওয়্যার কোম্পানি অ্যাপেক্সের আউটলেটে। জানতে চাইলে অ্যাপেক্সের একজন বিক্রয় কর্মী বলেন, এবারের ঈদ মৌসুমে অ্যাপেক্স বেশ কয়েকটি নতুন ডিজাইন বাজারে এনেছে। যেগুলো ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করেছে। বিক্রিও ভালো।
গ্রামীণ ইউনিক্লোর বিক্রয় কর্মী বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ঈদের বেচাকেনা খুব ভালো। ক্রেতাদের আগমনও অনেক বেশি। এ বছর গরম আরেকটু কম থাকলে বিক্রি আরো ভালো হতো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এসই/আরবি/