রোববার (১৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে এ পথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। এর আগে গত ১৫ জুন থেকে ১৭ জুন তিনদিন ঈদ উপলক্ষে বাণিজ্য বন্ধ ছিল।
এদিকে লম্বা ছুটির কারণে দু’দেশের বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। এসব পণ্যের মধ্যে পচনশীল পণ্য ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল রয়েছে। দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা না হলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে ব্যবসায়ীদের।
বেলা সাড়ে ১১টায় বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে এ পথে ভারতের সঙ্গে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেড় ঘণ্টায় ভারত থেকে ৫০টি ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়েছে। আর বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানি হয়েছে ৩৫ ট্রাক।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিনদিন বন্ধ থাকায় বন্দর অভ্যন্তরে কিছুটা পণ্যজট বেড়েছে। কার্যালয় খোলায় ইতোমধ্যে অনেকে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। দ্রুত পণ্য খালাসে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে। এতে এ পথে বিক্রেতাদের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি।
স্থলপথে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে এ বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩শ থেকে ৩৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। রফতানি হয় ১৫০ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এএটি