‘উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অর্থ অবমুক্তি ও ব্যবহার নির্দেশিকায়’ সংশোধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থবিভাগের উপসচিব মো. হেলাল উদ্দিন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে প্রকল্প পরিচালকরা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ বাজেট বরাদ্দের আলোকে সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রচলিত বিধানে মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর-পরিদপ্তর-অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জিওবি অংশের বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ থেকে প্রকল্প পরিচালকদের অর্থ ছাড়ের অনুমোদন গ্রহণে দুই-তিন মাস সময় লাগতো। এখন আর তা লাগবে না।
এছাড়াও শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (সিডি ভ্যাট) এর ক্ষেত্রে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক ছাড় করার বিধান রয়েছে। সংশোধিত পদ্ধতিতে মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক ছাড়ের পরিবর্তে প্রকল্প পরিচালকরা বাজেট বরাদ্দের আলোকে জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে সরাসরি অর্থ ব্যবহারে সক্ষম হবেন।
ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বর্তমানে কিস্তিভিত্তিক অর্থ ছাড়ের বিধান রয়েছে। সংশোধিত পদ্ধতিতে কিস্তির পরিবর্তে ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ এককালীন ছাড় করা যাবে।
সংশোধিত পদ্ধতিতে প্রকল্প পরিচালকরা অর্থবছরের শুরুতেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন। ফলে এডিপির আওতায় গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন আরও গতিশীল হবে।
জানা গেছে, প্রকল্পের জন্য সরকারি বরাদ্দের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড় করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুমোদন পেতে দুই-তিন মাস সময় ব্যয় হতো। এতে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক দেরি হচ্ছিল। যে কারণে সরকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্থছাড় প্রক্রিয়া আরও সহজ করলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এসই/আরবি/