পুরস্কার তুলে দেন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল আলীম ও বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সেলস মার্কেটিং প্রধান এমএম জসীম উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বসুন্ধরা সিটির জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড মার্কেটিং) আসিফ ফেরদৌস, শপিং মলটির দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হান্নান আজাদ, স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া ছাড়াও স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এবং সেরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ক্রেস্টও দেওয়া হয়।
গত ৩ মে ঈদুল ফিতরের কেনকাটা উপলক্ষে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল স্ক্র্যাচ কার্ড প্রোগ্রাম ‘বাজিমাত’ চালু করে। যা চলবে ঈদের রাত পর্যন্ত।
এই সময়ে ২৭ লাখ ৫০ হাজার স্ক্র্যাচ কার্ড বিভিন্ন বিপণি বিতানের মাধ্যমে ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ১৩ জন পেলেন মেগা পুরস্কার। আর ৬০ হাজারের বেশি পুরস্কার তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেতার হাতে আগেই তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে মেগা পুরস্কার বিজয়ী মনিরুল ইসলাম টয়োটা এক্সিও প্রাইভেট কার জিতেছেন। আর ইয়ামাহা মোটরসাইকেল জিতেছেন হাবিবুর রহমান মিলন, নাদিম নেওয়াজ, বশির আহমেদ, মো. সেলিম মিয়া, মাহবুবুর রহমান ও ফাল্গুনী সরকার।
আর তামান্না নুসরাত ওয়াহী, খন্দকার নাবিল, দিপঙ্কর চৌধুরী ও সঞ্জয় দাস জিতে নিয়েছেন থাইল্যান্ড কাপল ট্যুর প্যাকেজ। ক্র্যাচকার্ডে আরমানি ঘড়ি জিতেছেন মো. জাহিদুল হক ও সামিহা সিদ্দীকা।
জসীম উদ্দীন বলেন, এতো বড় আয়োজন সফল করতে ক্রেতার সকল সুবিধার কথা আমরা মাথায় রেখেছি। কার পার্কিং, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ সকল বিষয়ে আমরা যত্ন নিয়েছি। এবার অনেকেই কার্ড ঘষে কিছু পাননি বলে হয়তো মন খারাপ করেছেন। আগামীতে আমরা পুরস্কারের সংখ্যা আরো বাড়াবো, যেন দুই, চারটা কার্ড ঘষলে অন্তত একটা পুরস্কার পাওয়া যায়।
শেখ আব্দুল আলীম বলেন, বরাবরের মতো এবারও স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে ক্রেতাদের আমরা বাড়তি কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার এক হাজার টাকার কেনাকাটা করলেই ১টি স্ক্র্যাচ কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ৬০ হাজারের বেশি পুরস্কার ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ঈদ কেনাকাটায় এবার বসুন্ধরা শপিং মলে দেড় কোটির বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থী সমাগম ঘটেছিল বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৮
ইইউডি/এমএ